আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কিডনি। আর কিডনি নষ্ট হলে কিডনি প্রতিস্থাপন অথবা ডায়ালাইসিস এর মাধ্যমে বেঁচে থাকতে হয়। তবে এগুলো অনেক ব্যয়বহুল। যা সকলের পক্ষে করা সম্ভব না। তাই কিডনি রোগের ঝুঁকি কমাতে আমাদের করণীয় কি কি তা জানা দরকার- ১.সুষম খাদ্যাভাস গড়ে তুলুন, ২. তাজা ফলমুল ও শাকসবজি বেশি করে খান, ৩. তৈলাক্ত, চর্বিযুক্ত ও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন, ৪. লবণ ও চিনি কম খান, ৫. কোমল পানীয় গ্রহণ করুন, ৬. পর্যাপ্ত পানি পান করুন, ৭. সপ্তাহের বেশির ভাগ দিনে হাটুন/ব্যায়াম করুন। হাটা অথবা ব্যায়ামের অভ্যাস করুন, ৮. বয়স ও উচ্চতা ভেদে আপনার সঠিক ওজন কত হওয়া উচিত তা জেনে নিন এবং সে অনুযায়ী ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন, ৯. আপনার রক্তচাপ নিয়মিত পরীক্ষা করুন এবং উচ্চ রক্তচাপ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, ১০. আপনি ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত কিনা তা রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে জেনে নিন। মনে রাখবেন কিডনি বিকল হবার অন্যতম প্রধান কারণ হলো অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, ১১. শিশুর গলাব্যাথা এবং খোসপাঁচড়া সময়মত চিকিৎসা না করলে তা থেকে গুরুতর কিডনি রোগ হতে পারে সুতরাং অবহেলা না করে সময়মতো চিকিৎসা নিন, ১২. দীর্ঘসময় প্র¯্রাব আটকে রাখলে ইনফেকশনের ঝুকি বাড়ে। এই বিষয়ে সচেতন হউন, ১৩. চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া যে কোন ধরনের ঔষধ বিশেষ করে ব্যাথার ঔষধ সেবন হতে বিরত থাকুন, ১৪. পরিবারে কারো কিডনি রোগের ইতিহাস থাকলে তা আপনার চিকিৎসককে অবহিত করুন, ১৫. অনেক ক্ষেত্রেই কিডনি রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে কোন বিশেষ শারীরিক উপসর্গ থাকে না, শুধুমাত্র প্র¯্রাব এবং রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে তা ধরা পড়ে। সুতরাং বছরে অন্তত একবার চিকিৎসক এর পরামর্শ মোতাবেক প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করুন, ১৬. কিডনি রোগ একটি জাতীয় স্বাস্থ্য সমস্যা। এ রোগ প্রতিরোধে এগিয়ে আসুন, ১৭. প্রতি বছর বাংলাদেশের মোট ১৫০ মিলিয়ন জনসংখ্যার প্রায় ৩০-৪০ হাজার রোগীর কিডনি সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে যায়, ১৮. বয়স ৫০ হলে বছরে অন্তত একবার কিডনি পরীক্ষা করাবেন, ১৯. কিডনি বিকলের মূল কারণঃ নেফ্রাইটিস, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ, ২০. খাদ্যে কৃত্তিম রং ও রাসায়ানিক পদার্থ ব্যবহার পরিহার করুন। ২১. উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন, কিডনি সুস্থ রাখুন, ২২. কিডনি রোগ জীবন নাশা, প্রতিরোধেই বাঁচার আশা। আপনার কিডনির সুস্থতা বিষয়ে নিজে সচেতন হউন এবং অন্যকে সচেতন করুন। প্রচারে: সোনার বাংলা ফাউন্ডেশন- বাংলাদেশ।