লালমনিরহাট বার্তা
প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে রংপুর বিভাগে
রংপুর অফিস | ২৮ জুল, ২০২৩, ১০:৫৭ AM
প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে রংপুর বিভাগে

রংপুর বিভাগে প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে তৃনমুল আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীদের মধ্যে। নিজেকে জানান দিতে সড়ক সহ ছোট বড় শহরের আনাচে কানাচে সাটিয়েছেন বড়- বড় বিলবোর্ড ফেস্টুন। আওয়ামীলীগের দেশ শাসনের উন্নয়নের ফিরিস্তি দিয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে লাগানো হচ্ছে বিলবোর্ড। একইসঙ্গে আগামী নির্বাচনের এমপি প্রার্থীর টিকিট নিশ্চিত করতে আদা-জল খেয়ে নিজ নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন বর্তমান সাংসদরা।বিভিন্ন স্থানে ছোট বড় বৈঠক ছাড়া করছেন বর্ধিত সভা।

এক সুত্রে জানা গেছে, দলীয় পদ পদবী নিয়ে বিভিন্ন সময়ে নেতা এবং কর্মীদের মধ্যে মতবিরোধ ভুলে নেত্রীর আগমনকে ঘিরে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। ফলে কমতে শুরু করেছে একে অপরের প্রতি অভিমানও। দলীয় নেতা কর্মীদের মধ্যে বিরোধী মিটিয়ে মাঠের এমন সহাবস্থান ঐক্যেবদ্ধ হিসেবে দেখছে হাইকমান্ডের নেতারা।

সম্প্রতি, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে রংপুর শিল্পকলা এডাকেমিতে এক বিশেষ বর্ধিত সভা করেছেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ, দলের কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমান এমপি, বানিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, রংপুর-২ আসনের সাংসদ আবুল কালাম মো: আহসানুল হক চৌধুরী ডিউকসহ কেন্দ্রীয় ও রংপুর বিভাগের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য, জেলা ও উপজেলার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ওই সভায় প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশকে ঘিরে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়। এছাড়াও দলের হাইকমান্ড জেলা ও উপজেলার সভাপতি সম্পাদকদের নিয়েও বৈঠক করেন। বৈঠকের নির্দেশনার পরেই মাঠে ছুটে গেছেন নেতারা। গুছিয়ে নিচ্ছেন নিজ নির্বাচনী এলাকা ।তৃনমুল নেতাদের সাথে দূরুত্ব কমাতে সব প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখছেন ।

রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক টুটুল চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনকে ঘিরে আমরা প্রায় সব প্রস্তুতি সেরেছি। এমপি মহোদয়ের নির্দেশে বর্ধিত সভা এমনকি ওয়ার্ড ইউনিয়নের নেতা কর্মীদের সঙ্গে বসেছি।

এদিকে, ঢাকামূখী নেতারা হঠাৎ নিজ এলাকামুখি হওয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া আছে মাঠের ত্যাগী কর্মীদের। বিভিন্ন সময়ে নেতাদের কাছে না পাওয়ার যে ক্ষোভ তা প্রধামন্ত্রীর কারণে মিটিয়ে গেলে আগামী নির্বাচন পর্যন্ত নিজ এলাকায় এমন বিচরণ, ঐক্য এবং দলীয় নেতা-কর্মী ছাড়াও ভোটারদের খুব কাছে থাকবেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা এমন প্রত্যাশাও তাদের।

বিভাগের বিভিন্ন এলাকার মাঠ পর্যায়ে একাধিক নেতা কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনেক সংসদ সদস্য আছেন যারা ভোটের পর নিজ দলীয় কর্মীর খুব একটা খোঁজ রাখেননি। পছন্দের কিছু নেতা কর্মীর খোজ রাখলেও বঞ্চিত হয়েছিল দলের একটা বড় অংশ। এই কারণে বিভিন্ন এলাকায় দলের বিভেদ তৈরি হয়েছে। আসন্ন নির্বাচনের আগেই বিভেদ মিটিয়ে নিতে হবে।

রংপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সদস্য সচীব আবুল কাশেম জানান, আমরা ঐক্যবদ্ধ প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে রংপুর ঐক্যবদ্ধ। স্বরণকালের সবথেকে বড় সমাবেশ করতে চাই আমরা। এজন্য সবাই কাজ করছি। এই সমাবেশকে ঘিরে নেতা কর্মীরা এখন উজ্জীবিত হয়ে উঠেছে।

রংপুর-২ আসনের সাংসদ আবুল কালাম মোঃ আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের অভিভাবক। তিনি আমাদের অনেক দিয়েছেন অনেক উন্নয়ন করেছেন রংপুরে। রংপুরের ইতিহাসে এমন উন্নয়ন কেউ করেনি, কল্পনাও করেনি।

রংপুর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্নআহবায়ক মাজেদ আলী বাবুল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমন নিয়ে নেতাকর্মীরা দারুণ উজ্জীবিত। আমরা তৃণমূল আওয়ামীলীগ এখন অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে ঐক্যবদ্ধ। আসন্ন নির্বাচনে এই ঐক্য কেউ ভাংতে পারবে না।নেত্রীকে আমরা আগামী নির্বাচনে এই এলাকা থেকে সর্বোচ্চ আসন উপহার দিবো।

এই বিভাগের আরও খবর