লালমনিরহাট বার্তা
১৫ নভেম্বর তিস্তা লং মার্চ সফল করতে কুড়িগ্রামে পথ সভা
স্টাফ রিপোর্টারঃ | ১০ অক্টো, ২০২১, ৩:০৯ PM
১৫ নভেম্বর তিস্তা লং মার্চ সফল করতে কুড়িগ্রামে পথ সভা
তিস্তা নদীকে বাঁচাতে, নদীর ভাঙ্গন ঠেকাতে, বিজ্ঞান সম্মতভাবে তিস্তা মহা পরিকল্পনা বাস্তবায়নসহ ৬দফা ও রংপুর অঞ্চলের বৈষর্ম দুরীকরনের দাবিতে আগামি ১৫ নভেম্বর তিস্তা লং মার্চ সফল করতে কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার ঘরিয়াল ডাঙ্গা ইউনিয়নের সরিষাবাড়ি বাজারে হাজী মার্কেট প্রাঙ্গনে এক পথ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন, তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানী, সাধারন সম্পাদক শফিয়ার রহমান, স্টান্ডিং কমিটর সদস্য গেরিলা লিডার ড. এস এম শফিকুল ইসলাম কানু, বকতিয়ার হোসেন শিশির। সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা হাদিউজ্জামান ।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নাট্যকার ও সমাজসেবী মাখন লাল দাস, ভাঙ্গন কবলিত এলাকার বাসিন্দা আব্দুল কাদের মোল্লাহ, ডাঃ রফিকুল ইসলাম, ব্যাংকার সাজু সরকার, সমাজসেবী আশরাফুল ইসলাম, মাওলানা মোঃ আব্দুস সালাম মাস্টার প্রমূখ।
তিস্তা লং মার্চের প্রচারনাঃ ভাঙছে তিস্তা, বাড়ছে হাহাকার, বাড়ছে বৈষম্য। তিস্তা পাড়ের কোটি মানুষ অসহায় নাকাল কাহিল। জীবন হাঁসফাঁস। বৈষম্য রোধ আর তিস্তা ভাঙনের অভিশাপ থেকে মানুষের মুক্তির দাবিতে ডাক পড়েছে
তিস্তা নদীকে বাঁচাতে, ভাঙন ঠেকাতে, বিজ্ঞানসম্মতভাবে তিস্তা মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন সহ ৬ দফা ও বৈষম্য দূরীকরনের দাবিতে ১৫ নভেম্বর ২০২১ সোমবার দুপুর ২টায় তিস্তা রেলসেতু সংলগ্ন নদীর তীরে লংমার্চ ও মহাসমাবেশে দলে দলে যোগ দিন।

১. তিস্তা নদী সুরক্ষায় বিজ্ঞানসম্মতভাবে 'তিস্তা মহাপরিকল্পনা’ দ্রুত বাস্তবায়ন। অভিন্ন নদী হিসেবে ভারতের সঙ্গে ন্যায্য হিস্যার ভিত্তিতে তিস্তা চুক্তি সম্পন্ন, তিস্তা নদীতে সারা বছর পানির প্রবাহ ঠিক রাখতে জলাধার নির্মাণ।
২. তিস্তা নদীর শাখা-প্রশাখা ও উপ-শাখাগুলোর সঙ্গে নদীর পূর্বেকার সংযোগ স্থাপন ও নৌ চলাচল পুনরায় চালু।
৩. ভূমিদস্যুদের হাত থেকে অবৈধভাবে দখলকৃত তিস্তাসহ তিস্তার শাখা-প্রশাখা দখলমুক্ত করা। নদীর বুকে ও তীরে গড়ে ওঠা সমস্ত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ।
৪. তিস্তা ভাঙনে, বন্যা ও খরায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের স্বার্থসংরক্ষণ। নদী ভাঙনের শিকার ভূমিহীন, গৃহহীন ও মৎস্যজীবীসহ নদী ভাঙনে উদ্বাস্ত মানুষের পুনর্বাসন।
৫. তিস্তা মহাপরিকল্পনায় তিস্তা নদী ও তিস্তা তীরবর্তী কৃষকের স্বার্থ সুরক্ষায় ‘কৃষক সমবায় এবং কৃষিভিত্তিক শিল্প কলকারখানা গড়ে তোলা।
৬. মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ এবং প্রস্তাবিত প্রকল্প এলাকায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তিস্তা পাড়ের মানুষদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা।
এই বিভাগের আরও খবর