রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে হৃদরোগে আক্রান্ত সমাজকল্যাণমন্ত্রী নূরুজ্জামান আহমেদকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। সমাজ কল্যান মন্ত্রী কে বিমান বাহিনীর এয়ার এম্বুলেন্সে করে পরবর্তী চেক আপের জন্য ঢাকায় নেয়া হয়েছে।তাঁকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি দুপুর ১.৩৪ মিনিটে রংপুর সেনানিবাসের হেলিপ্যাড ত্যাগ করেছে। আজ রোববার সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর ছেলে ও লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবুজ্জামান আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।এর আগে তাকে গতকাল শনিবার (৭ মে) রাতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি করা হয়েছিল।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে,গতকাল শনিবার রাতে গ্রামের বাড়ি লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে অবস্থানকালীন সমাজকল্যাণমন্ত্রী বুকে তীব্র ব্যথা অনুভব করেন। এসময় একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে রাত আড়াইটায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে কার্ডিওলজি বিভাগের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি করা হয়। রোববার বেলা সোয়া একটার দিকে হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বেলেন্সে করে রংপুর সেনানিবাসে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে সমাজকল্যানমন্ত্রী বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারে করে ঢাকার পথে রওনা করেন।
মন্ত্রীর ছেলে রাকিবুজ্জামান আহমেদ বলেন, বর্তমানে সমাজকল্যাণমন্ত্রীর অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।তিনি আরো জানিয়েয়েছেন, তার ঢাকা থেকে আসার পর থেকেই তিনি (মন্ত্রী) ঈদ উদযাপনসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে খুব ব্যস্ততার মধ্যে সময় কাটাচ্ছিলেন। কয়েকদিন ধরে ঠিক মতো বিশ্রাম নেয়া হয়নি। গতকাল শনিবার রাতেও আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা এলাকায় একটি ঈদ আড্ডা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। অনুষ্ঠান শেষে বাড়িতে ফেরার পথে তিনি (মন্ত্রী) বুকে ত্যব্র ব্যথা অনুভব করেন। পরে রাত আড়াইটার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডাঃ শাকিল গফুরের তত্বাবধানে সমাজকল্যাণমন্ত্রীকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। এ ব্যাপারে অধ্যাপক ডাঃ শাকিল গফুর বলেন, মন্ত্রী মহোদয়ের শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল আছে। তিনি বুকে ব্যথা অনুভব করেছিলেন। এখন (দুপুর ১২টা) পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো সমস্যা হয়নি।
রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ বিমল রায় জানান, মন্ত্রী মহোদয় দীর্ঘ দিন ধরে হৃদরোগের সমস্যায় ভুগছিলেন। এছাড়া তার উচ্চমাত্রায় ডায়াবেটিস ছিল। তাকে হাসপাতালে আনা হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা শুরু করেন। মন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে। পারিবারিক সিদ্ধান্তে তাকে ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির হোসাইন বলেন, ঈদ উদযাপনের জন্য ২৯ এপ্রিল ঢাকা থেকে লালমনিরহাটের বাড়িতে যান মন্ত্রী। এ সময় তিনি বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেন। বিভিন্ন প্রোগ্রামে ছিলেন তিনি।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ রেজাউল করিম বলেছেন, মন্ত্রীর আগে থেকে হৃদরোগের সমস্যায় আক্রান্ত ছিলেন।গতকাল শনিবার বুকে ব্যথা অনুভব করলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি করানো হয়। এখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা দেওয়া শুরু করেন। বর্তমানে তিনি ভালো আছেন। তবে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য আজই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।