লালমনিরহাট বার্তা
জমি কমেছে বাচ্চুর, ঋণ বেড়েছে মামুনের, সীমার রয়েছে নগদ টাকা
স্টাফ রিপোর্টার, হাতীবান্ধা | ৫ মে, ২০২৪, ১১:৩৯ AM
জমি কমেছে বাচ্চুর, ঋণ বেড়েছে মামুনের, সীমার রয়েছে নগদ টাকা

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মশিউর রহমান মামুনের জমিজমা না থাকলেও ব্যাংকে ঋণ বেড়েছে। আর লিয়াকত হোসেন বাচ্চুর কমেছে জমির পরিমান। ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দাখিলকৃত তাদের হলফনামায় এসব তথ্য উল্লেখ করেন।

২০১৯ সালের হলফনামায় বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুন উল্লেখ করেছিলেন তার ব্যবসা থেকে আয় বাৎসরিক ২ লাখ ১০ হাজার। ৫ বছরে সেই আয় বেড়েছে মাত্র ৪০ হাজার। ২০১৯ সালে ব্যাংকজমা ৩০ হাজার টাকা উল্লেখ করলেও ২৪ সালে তার ব্যাংকজমার পরিমান শূণ্য। মশিউর রহমান মামুন তার হলফনামায় দাবি করেন নিজ নামীয় কোন জমি না থাকলেও রয়েছে সাড়ে ১০ ভরি স্বর্ন আর ব্যাংকে রয়েছে ৩৩ লাখ ১২ হাজার ২ টাকা ঋণ। ৫ বছরে ১টি এলপিইজি ফিলিং স্টেশনের মালিক বলে তিনি দাবি করলেও ফিলিং স্টেশনের জমি ভাড়া বলে উল্লেখ করেন তার আয়কর প্রত্যায়নে। তবে উপজেলা চেয়ারম্যান থাকাকালিন হয়েছেন ফৌজদারি মামলার আসামী।

সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন বাচ্চুর হলফনামায় ২০২৪ সালে কৃষি জমির পরিমান দেখিয়েছেন ৪.৬০ একর। যা গত ৫ বছরে ৪০ শতক জমি কমেছে। কৃষি খাতে ১৯ সালে বার্ষিক আয় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেখালেও ২০২৪ সালে সেই আয় বেড়ে দাড়িয়েছে ৩ লাখ ১৮ হাজার ৪ শত। ২০১৯ সাথে ব্যাংকে জমা ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা থাকলেও ২০২৪ সালে তা ৫ লাখ টাকা হয়েছে। মশিউর রহমান মামুনের মত লিয়াকত হোসেন বাচ্চুরও ঋণ এর পরিমান বেড়েছে। ২০১৯ সালে হলফনামায় মাত্র ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা ঋণ রয়েছে দাবি করলেও ২০২৪ সালের হলফনামায় দাবি করেছেন ব্যাংক লোন ও জমি বন্দক বাবদ ১৭ লাখ টাকা ঋণ রয়েছে তার।

একমাত্র নারী প্রার্থী শাহানা ফেরদৌসী সীমা হলফনামায় স্বামীর উপর নির্ভরশীল দাবি করে তার কাছে নগদ ১৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা ও স্বর্ণ রয়েছে ৩ লাখ টাকার বলে উল্লেখ করেন।

এই বিভাগের আরও খবর