রংপুরের বদরগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ জাতীয় করণ হলেও দূর্ণীতির ৯টি অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় অধ্যক্ষ মাজেদ আলী খানের পদটি জাতীয় করণ থেকে বাদ পড়ে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয় সাংসদ আহসানুল হক চৌধুরী ডিউকও কলেজের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রধান মন্ত্রী সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করার অভিযোগ তুলেছেন কলেজটির শিক্ষকরা।বুধবার দুপুরে বদরগঞ্জের একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষকরা জানান, প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত প্রচেষ্টায় কলেজটি জাতীয়করণ হলেও শিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে ২০২০ সালের১১সেপ্টেম্বর কলেজের জমি থেকে শুরু করে শিক্ষক, কর্মকর্তা/কর্মচারী এবং কলেজের আর্থিক সহ সব বিষয়ে অডিট করে শিক্ষা মন্ত্রনালয়। ওই অডিটে অধ্যক্ষ মাজেদ আলী খানের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম সহ ১০টি অনিয়মের মধ্যে ৯টি অভিযোগ প্রামানিত হয়। শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের ওই প্রতিবেদনটি আমলেনিয়ে ২০২১ সালের ২৫ জানুয়ারী দূর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক মাজেদ আলীর শাস্তির সিদ্ধান্তর জন্য শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে প্রতিবেদন প্রেরণ করেন।মন্ত্রনালয় ওই প্রতিবেদন আমলেনিয়ে ২০২২ সালের ১৮ এপ্রিল মাজেদের বিরুদ্ধে শাস্তির প্রজ্ঞাপন জারি করেন এবং ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারী অধ্যক্ষ মাজেদের বেতন-ভাতা বন্ধ করে শিক্ষা মন্ত্রনালয়। এর আগে ৭ এপ্রিল রংপুর আঞ্চলিক দূর্নীতি দমন কমিশন তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলা চলমান রয়ছে।
জানা গেছে, দূর্নীতির ৯টি অভিযোগ প্রমাণিত হওয়া এবং দূদকে মামলার কারণে কলেজ জাতীয়করণ কার্যক্রমে সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পদ সৃজন শেষ হলেও অধ্যক্ষের পদ সৃজন হয়নি।
শিক্ষকরা আরো জানান, পদ সৃজনে অধ্যক্ষ বাদ পড়ায় কলেজের ৮ শিক্ষকের নামে বিভিন্ন জায়গায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে আবেদন করেছেন। যেসব অভিযোগ দিয়ে শিক্ষকদের হয়রানী করছেন, সেই অভিযোগ শিক্ষা মন্ত্রনালয় নিষ্পত্তিকরে দিয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে দারস্ত হলেও আদালত ওই শিক্ষকদের পক্ষে রায় দিয়েছেন।
শিক্ষদের অভিযোগ, আট শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে কোথাও কোন ফায়দালুটতে নাপেরে এবং দূর্নীতির কারণে জাতীয় করণে নিজের পদ সৃজন করতে নাপেরে ক্ষুব্ধ হয়ে অধ্যক্ষ স্থানীয় সংসদ সদস্য আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক সহ আমাদের বিরুদ্ধে বিষদগার এবং নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন। যাতে করে বদরগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ জাতীয়করণ কার্যক্রম থেকে বাদ পড়ে। এই অবস্থায় আমরা অধ্যক্ষ মাজেদ আলী খানকে দ্রæত অপসারণ করার দাবী করছি। সে সঙ্গে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কলেজ জাতীয়করণ করায় অভিনন্দন জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্তিত ছিলেন, কলেজের উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপনন বিভাগের প্রভাষক ফরিদুল ইসলাম, রসায়ন বিভাগের আলীনুর রহমান, বাংলা বিভাগের নিরঞ্জর কুমার, শামীম আল মামুন, রাশেদা খাতুন সহ অনেকে।