লালমনিরহাট বার্তা
বিশ্বাসঘাতক খুঁজতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করছে এফবিআই
ভয়েস অফ আমেরিকা | ২ জুল, ২০২৩, ৭:২৩ AM
বিশ্বাসঘাতক খুঁজতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করছে এফবিআই

গত কয়েক মাসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লগইন করে থাকলে, খুব সম্ভবত আপনি একটি ভিডিও দেখেছেন। ভিডিওটিতে একটি ধুসর, মেঘাচ্ছন্ন দিনে ওয়াশিংটনে অবস্থিত রুশ দূতাবাস দেখা যায়। নেপথ্যে চলন্ত গাড়ি ও বাসের শব্দও শোনা যায় এতে।

ইংরেজিতে একজন বলে ওঠেন, “আপনি কি আপনার ভবিষ্যৎ বদলাতে চান?” স্ক্রিনের নিচের দিকে রুশ সাবটাইটেল দেখা যায় এবং বর্ণনাকারী “ইউক্রেনে রাশিয়ার বড় পরিসরের আগ্রাসনের” প্রথম বছর পূর্তির বিষয়টি উল্লেখ করেন।

এরপর একটি গুরুগম্ভীর সঙ্গীত বাজতে শুরু করে, ক্যামেরা বাম দিকে সরিয়ে নেয়া হয়। আর, দর্শককে উইসকনসিন অ্যাভিনিউ থেকে শুরু করে, অ্যাডামস মরগান মেট্রো স্টেশন হয়ে, ওয়াশিংটনের মধ্য দিয়ে, অবশেষে এফবিআই’র সদর দপ্তর দেখানো হয়।যা হোয়াইট হাউজ থেকে মাত্র কয়েক ব্লক দূরে অবস্থিত।

ভিডিও শেষ হওয়ার আগে এফবিআইর সহকারী পরিচালক অ্যালান কেহলার জানান, “এফবিআই আপনাকে মূল্য দেয়; এফবিআই আপনাকে সাহায্য করতে পারে।” রুশ সাবটাইটেল স্ক্রিনের নিচে চলতে হতে থাকে। তাতে লেখা, “কিন্তু শুধু আপনার হাতেই রয়েছে প্রথম পদক্ষেপ নেয়ার ক্ষমতা।”

এফবিআই’র ওয়াশিংটন ফিল্ড অফিসের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা এই ভিডিওটি প্রথম ২৪ ফেব্রুয়ারি ফিল্ড অফিসের টুইটার অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা হয়।এরপর এর আরো ৫টি ভিন্ন সংস্করণ একই দিনে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে অর্থের বিনিময়ে বিজ্ঞাপন হিসেবে প্রকাশ করা হয়। এতে এফবিআইর প্রায় সাড়ে ৫ হাজার থেকে সাড়ে ৬ হাজার ডলারের মতো খরচ হয়।

এই অর্থ এফবিআইর বার্ষিক ১ হাজার কোটি ডলার বাজেটের তুলনায় খুবই সামান্য বলে মনে হতে পারে। তবে এফবিআই-এর পক্ষ থেকে রুশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে এটাই এ ধরনের ব্যয়ের প্রথম বা শেষ ঘটনা নয়।

এই ভিডিওটি এফবিআইর একটি সম্প্রসারিত, দীর্ঘ দিন ধরে চলমান প্রচারণার অংশ। এর লক্ষ্য হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশে নিযুক্ত অসন্তুষ্ট রুশ কর্মকর্তাদের নিজেদের পক্ষে নিয়ে আসা। এমন কী এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের সেসব নাগরিকদেরও চিহ্নিত করা হয়, যারা নিজ দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে মস্কোকে সাহায্য করছে।

ভয়েস অফ আমেরিকার এক বিশ্লেষণে জানা গেছে, এফবিআই রুশ কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে কমপক্ষে হাজার হাজার ডলার খরচ করে বিজ্ঞাপন দিয়েছে। মস্কো ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর ঠিক আগে থেকে শুরু করে এবং পরবর্তীতে, হামলা শুরুর পর এ ধরনের বিজ্ঞাপনের মাত্রা বেড়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা বাহিনীর (কাউন্টার-ইন্টেলিজেন্স) একাধিক সাবেক কর্মকর্তা ভয়েস অফ আমেরিকাকে জানান, এফবিআইর পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনে অর্থ খরচের এই উদ্যোগ খুবই কার্যকর।

এফবিআই ২ মিনিট দীর্ঘ বিজ্ঞাপনটি ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে প্রচার করার পেছনে কয়েক হাজার ডলার খরচ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে। তবে তারা জানায়, সংস্থাটি গোয়েন্দা-তথ্য জোগাড় করতে “বিভিন্ন প্রক্রিয়া অবলম্বন” করে থাকে।

এই বিভাগের আরও খবর