লালমনিরহাট বার্তা
আদালতের স্থগিতাদেশকে অগ্রাহ্য করে গার্ড-২ নিয়োগে পরীক্ষা কার স্বার্থে? - মনিরুজ্জামান মনির
বার্তা ডেস্কঃ | ১৩ জুন, ২০২২, ৮:১৩ AM
আদালতের স্থগিতাদেশকে অগ্রাহ্য করে গার্ড-২ নিয়োগে পরীক্ষা কার স্বার্থে? - মনিরুজ্জামান মনির
আদালতের আদেশ অমান্য করে ও রেলওয়ে নিয়োগ বিধিমালা ২০২০ সংশোধন হওয়ার আগেই বাংলাদেশ রেলওয়ে আগামী ১৭ জুন গার্ড গ্রেড—২ পদে যে লিখিত পরীক্ষা নিতে যাচ্ছে সেটি কার স্বার্থে তা খতিয়ে দেখতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটি কেন্দ্রীয় সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির।
আজ ১৩ জুন দুপুরে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ অনুরোধ জানান তিনি। মনিরুজ্জামান মনির বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ে আগামী ১৭ জুন গার্ড গ্রেড—২ ও লোকোমোটিভ মাস্টার পদে লিখিত পরীক্ষা নিতে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে এ—সংক্রান্ত প্রবেশপত্র ইস্যু করা হয়েছে। নিয়োগ না পেয়ে প্রশিক্ষণ নেয়া ৩৭ জন কর্মী আদালতের আশ্রয় নিলে ঢাকার প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল—১ মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত গার্ড পদে লোক নিয়োগে গত ৮ মার্চ স্থগিতাদেশ দেয়। সেখানে বলা হয়েছে, মামলা চলাকালীন এবং এটি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত কোনো ধরনের নতুন নিয়োগ, পদোন্নতি বা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া যাবে না। আদেশের পর এতদিন নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ ছিল। অপরদিকে রেলওয়ে নিয়োগ বিধিমালা ২০২০ নিয়ে রেলওয়ের সকল ট্রেড ইউনিয়ন ও রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটি আপত্তি ও সংশোধনের দাবিতে আন্দোলন—সংগ্রামের ফলে গত ২৭ ডিসেম্বর ২০২১ বাংলাদেশ রেলওয়ের অনুমোদিত ৪৭ হাজার ৬৩৭ জন জনবল কাঠামোর জন্য নিয়োগ বিধিমালা হালনাগাদ/সংশোধন করার লক্ষ্যে ১৮ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। এখনো পর্যন্ত সেই কমিটি নিয়োগ বিধিমালা ২০২০ সংশোধন করতে পারেনি।
তিনি বলেন, আদালতের স্থগিতাদেশ ও নিয়োগ বিধিমালা সংশোধনের পূর্বেই একটি চক্র রেলওয়েতে নিয়োগ বাণিজ্য করার লক্ষ্যে জনবল নিয়োগে উঠেপড়ে লেগেছে। ইতিপূর্বে লোকোমোটিভ মাস্টারসহ বিভিন্ন পদে প্রায় ১৮০০ জনবল নিয়োগ অনিষ্পন্ন আছে। সেগুলো সমাধানে কোন কার্যকর পদক্ষেপ নিতে রেলওয়েকে দেখা যায় না। অথচ নতুন নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে তাদের আগ্রহের শেষ নেই। এক্ষেত্রে আদালতের আদেশ অগ্রাহ্য করতেও তারা দ্বিধাবোধ করেন না।
তিনি আরো বলেন, রেলওয়েতে ট্রেনের পরিচালক (গার্ড) পদে নিয়োগের জন্য রেলওয়ের ১৭১ জন কর্মীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে রাখা হয়েছে। কিন্তু প্রশিক্ষিত এই কর্মীদের নিয়োগ না দিয়ে বাইরে থেকে লোক নিয়োগের চেষ্টা করছে রেলওয়ে। এমনকি অবসরে গিয়ে চুক্তিভিত্তিক সাত—আট বছর গার্ড পদে চাকরি করার পর আবার তাদের উচ্চ বেতনে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা চলছে। বাংলাদেশ রেলওয়েতে কর্মরত থাকাবস্থায় পরিচালক (গার্ড) পদে পদোন্নতির জন্য ২০১৯ সালে দুই মাসের প্রশিক্ষণ নেন ৬১ কর্মী। চট্টগ্রামে রেলওয়ে ট্রেনিং একাডেমিতে প্রশিক্ষণ শেষে সনদও দেয়া হয় তাদের। এ সময় বলা হয়েছিল সরাসরি গার্ড হিসেবে তারা যোগ দেবেন। কিন্তু এখনো ‘গার্ড’ পদে কাজের সুযোগ হয়নি গার্ডশিপ প্রশিক্ষণ নেয়া অনেক কর্মীর।
মনিরুজ্জামান মনির আদালতের আদেশ অমান্যকারীদের খুঁজে বের করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। পাশাপাশি আদালতকে স্বপ্রণোদিত হয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি ত্রুটিপূর্ণ নিয়োগ বিধিমালা ২০২০ সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত সব ধরনের নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ রাখতে কতৃর্পক্ষকে অনুরোধ করেন।(প্রেস বিজ্ঞপ্তি)
এই বিভাগের আরও খবর