লালমনিরহাট বার্তা
রংপুরে কুয়েত ও সৌদি আরব দূতাবাস কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ
রংপুর অফিস | ২৬ জুন, ২০২৪, ৭:১৬ AM
রংপুরে কুয়েত ও সৌদি আরব দূতাবাস কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ

কুয়েত ও সৌদি আরব দূতাবাসের কর্মকর্তাদের প্রতারণায় নিঃস্ব হওয়ার অভিযোগ এনে রংপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রবাসী বিপুল মিয়া।

মঙ্গলবার (২৫ জুন)বিকেলে রংরের রংপুর প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে জেলার মিঠাপুকুর মাঠেরহাট গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে বিপুল মিয়া জানান,২০০৪ সালে বৈধ ভাবে কুয়েতে গিয়ে তাইবি কোম্পানীতে লাইট জেনারেল ওয়ার্কার হিসেবে কাজ করেন বিপুল। মাসিক বেতন ৬০ দিনারের চুক্তি হলেও কোম্পানী তাকেদিত ৪৫ দিনার।২০১০ সালে বিপুল মিয়া তার পাসপোর্টে আকামালা গিয়ে অন্য একাজ করার জন্য ওই কোম্পানী কর্তৃপক্ষকে জানায়।এতে কোম্পানী তাকে সহযোগিতা নাকরে ওই কোম্পানীতেই কাজ করাতে বাধ্য করে। উপায়না পেয়ে পাওনা টাকা পরিশোধের জন্য বিপুল মিয়া কোম্পানীর বিরুদ্ধে মামলাকরলে আদালত তার পক্ষে রায় দেয় এবং কোম্পানী আদালতের মাধ্যমে তাকে টাকা পরিশোধ করে। কিন্ত কোম্পানী ও কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা যোগসাজশ করে বিপুলমিয়ার পাসপোর্ট আটকিয়ে রাখে। এরপর বিপুল কুয়েতে ফ্রেশ প্রিন্টিং, প্যাকেজিং ও কার্টুনের ব্যবসা শুরু করে।এর মধ্যে হঠাৎ একদিন কুয়েত পুলিশ এসে বিপুলকে আটক করে এবং ও তাইবি কোম্পানী ও বাংলাদেশী দূতাবাসের কর্মকর্তাদের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে টাকা আত্মসাতের জন্য অবৈধ ভাবে বিপুল মিয়ার স্বাক্ষর জাল করে তাকে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এতে করে বিপুল মিয়া প্রায় ১৮ কোটি টাকা ক্ষতি গ্রস্থ হয়। সেই সাথে দূতাবাস চিরদিনের জন্য তাকে কুয়েতে প্রবেশ বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে বিপুল মিয়া সৌদি আরবেগিয়ে ৪ বছর একটি কোম্পানীতে চাকুরী করে ৪৮ মাসের মধ্যে ১৩ মাসের বেতন পান এবং কোম্পানী ১৯ হাজার ৫’শ রিয়াল বকেয়া রাখে। এ ঘটনায় বিপুল তার উপার্জিত অর্থ ফেরত পেতে আদালতে মামলা করে। আদালত বিপুলের পক্ষে রায় দেয়।বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা যোগসাজশ করে টাকা পরিশোধ নাকরে আদালতের মাধ্যমে ঝুলিয়ে রাখে এবং বিপুলকে দেশে ফেরত আসতে বাধ্য করে।তিনি কুয়েত ও সৌদি আরব দূতাবাসের কর্মকর্তাদের প্রতারণার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া সহতার অর্থ ফেরত আনতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সহ দেশের সরকার প্রধানের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

এই বিভাগের আরও খবর