লালমনিরহাট বার্তা
ওমিক্রনে বাড়ছে সংক্রমণ তিন মাস পর সর্বাধিক মৃত্যু
বার্তা অনলাইন ডেস্কঃ | ৩০ জানু, ২০২২, ৫:১৬ AM
ওমিক্রনে বাড়ছে সংক্রমণ তিন মাস পর সর্বাধিক মৃত্যু
ওমিক্রনের দাপটে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যার সঙ্গে মৃত্যু বাড়ছে। গতকাল শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ২১ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর; যা গত বছরের অক্টোবরের পর সর্বোচ্চ। নতুন ২১ জনকে নিয়ে কোভিড মহামারিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৩২৯ জন। নমুনা পরীক্ষা কমে যাওয়ায় গত এক দিনে কম রোগী শনাক্ত হলেও শনাক্তের হার ৩১ শতাংশের ওপরেই রয়েছে। নতুন শনাক্ত ১০ হাজার ৩৭৮ জনকে নিয়ে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৭ লাখ ৭৩ হাজার ১৪৯ জনে। সরকারি হিসাবে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ১ হাজার ১০৯ জন, তাদের নিয়ে এই পর্যন্ত সুস্থ হলেন ১৫ লাখ ৬৩ হাজার ৪৭৮।

বাংলাদেশে মহামারি শুরুর পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যু ঘটলেও বছর গড়িয়ে করোনা ভাইরাসের ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা চূড়ায় উঠেছিল। গত বছরের ৫ আগস্ট ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারির মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা। এরপর মৃত্যুর সংখ্যা কমতে কমতে গত ডিসেম্বরে মৃত্যুহীন দিনও দেখেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ওমিক্রনের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার মধ্যে মৃত্যু আবার বাড়তে শুরু করেছে। গত বছরের ৯ অক্টোবরে ২১ জনের মৃত্যুর খবর আসার পর শনিবারের আগে আর এত মৃত্যু দেখা যায়নি। অতি সংক্রামক ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়লেও এত দিন মৃত্যুর সংখ্যা কম দেখে অনেকের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি পালনে উদাসীনতা দেখা গেলেও বিশেষজ্ঞরা বরাবরই সতর্ক করে আসছিলেন। ওমিক্রনের দাপটে গত কয়েক দিন ধরেই দিনে রোগী শনাক্তের সংখ্যা ১৫ হাজারের বেশি ছিল। শনিবার তা ১১ হাজারের নিচে নামলেও গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষাও আগের দিনের চেয়ে ১৩ হাজার কম হয়েছে। শুক্রবার ৪৬ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করে ১৫ হাজার ৪৪০ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার দাঁড়ায় ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ, যা মহামারিকালে দেশে সর্বোচ্চ সংখ্যা। ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম সংক্রমণ ধরার পর ডেলটার দাপটে গত বছরের ২৮ জুলাই রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৩ হাজার ৩৭৩টি নমুনা পরীক্ষা করে ১০ হাজার ৩৭৮ রোগী শনাক্ত হওয়ায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৩১ দশমিক ১০ শতাংশে। গত ডিসেম্বরে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ঘোরাফেরা করছিল ২০০ থেকে ৩০০-এর ঘরে। শনাক্তের হার নেমে এসেছিল ২ শতাংশের নিচে। এখন তা আবার ঊর্ধ্বমুখী। মহামারির মধ্যে সার্বিক সনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৩১ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬০ শতাংশ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী দেশে এখন সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৮১ হাজার ৩৪২ জন। গত এক দিনে শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ৭ হাজার ১৭ জনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা, যা মোট আক্রান্তের ৬৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ। গত এক দিনে ঢাকা বিভাগের মধ্যে ঢাকা জেলায় ৬ হাজার ৩৭৯ জন, ফরিদপুরে ১০৪ জন এবং গাজীপুরে ১৪৫ জনের কোভিড শনাক্ত হয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে চট্টগ্রাম জেলায় ৮০৯ জন, কক্সবাজারে ৪৯৮ জন, নোয়াখালীতে ১২৮ জন, চাঁদপুরে ১৩০ জন এবং কুমিল্লায় ১৯১ জন; রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী জেলায় ১৭৭ জন, বগুড়ায় ১০০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া খুলনা বিভাগের মধ্যে যশোরে ১১৭ জন; সিলেট বিভাগের সিলেট জেলায় ২৪৫ জন; এবং ময়মনসিংহে ১১৪ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে গত এক দিনে।(সূত্র: ইত্তেফাক)
এই বিভাগের আরও খবর