লালমনিরহাট বার্তা
রংপুরে বন্যার পর আবারো বেড়েছে মুরগি-মাছ ও সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী
রংপুর অফিস : | ১৬ জুল, ২০২৪, ৯:০৯ AM
রংপুরে বন্যার পর আবারো বেড়েছে মুরগি-মাছ ও সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী

 বিভাগের কয়েক দফা বণ্যার কারনে সবাজি ক্ষেতে গাছ মরে যাওয়ার কারনেছ বেড়েই চলেছে নিত্যপণ্যের দাম। চাউল,মাছ-মাংস , সবজি খাওয়াই দুষ্কর হয়েপড়েছে ।বাজারে এখনই যে অবস্থা, আগামীতে কি হবে তা ভেবে শঙ্কিত রংপুরেরসাধারণ মানুষ সেই সাথে আবারো বেড়েছে মুরগি ও মাছের দাম কাঁচা তরকারীধনেপাতা, মটরশুঁটি বেগুন,পেঁয়াজ,কাচামরিচ, করলা,শশা,ঢ়েড়স,পাটশাক সহ কিছুসবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী। ডাল ও তেলের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।রংপুরের নগরী সহ জেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারেব্রয়লার মুরগি ২২০ টাকা থেকে বেড়ে ২৪৫-২৬০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ২৮০টাকা থেকে বেড়ে ৩৫০-৩৬০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৩৮০ টাকা থেকে বেড়ে ৫৪৫-৫৫০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর পাকিস্তানি লেয়ার মুরগী বিক্রি হচ্ছে ৩২০টাকায়।গরুর মাংস গত সপ্তাহের মতোই ৭০০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ৯০০-১০০০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।নগরীর বাজারের মুরগি বিক্রেতা রিপন মিয়া বলেন, মুরগির বাজার নিয়ন্ত্রণকরছে সিন্ডিকেট।তারা খামারিদের কাছ থেকে সরাসরি মুরগি কিনে বাজারনিয়ন্ত্রণ করছে। এতে সাধারণ মুরগী ব্যবসায়ীরা চড়া দামে মুরগি কিনতে বাধ্যহচ্ছেন।একারনে খুচরা বাজারে প্রভাব পড়ছে।রংপুর সিটি বাজারে মুরগি কিনতে আসা আসিফুর ইসলাম বলেন, গরিবের মাংসেরস্বাদ পূরণ করে ব্রয়লার মুরগীর মাংস খেয়ে। ১২০-১৩০ টাকার সেই ব্রয়লার এখন২৫৫-২৬০ টাকা কেজিতে কিনতে হচ্ছে।বিভাগের আট জেলার উপজেলা গুলোর বিভিন্ন হাট-সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়,প্রতি কেজি টমেটো ৬০-৭০ টাকা, গাজর ৪-৪৫ টাকা, শসা ৩৫-৪০ টাকা, চিকনবেগুন ৬০-৭০ টাকা,গোল বেগুন ৫৫-৬০ টাকা, পেঁপে ২৫-৩০টাকা,  লেবু হালি১৫-২০ টাকা, কাঁচামরিচ ২৮০-২০০ টাকা, শুকনা মরিচ ৫৫০-৬০০ টাকা, প্রতি পিসলাউ আকারভেদে দাম ৪০-৪৫ টাকা, ধনেপাতার কেজি২০০-২২০ টাকা, কাঁচকলা হালি২৫-৩০ টাকা, প্রতি কেজি মিষ্টিকুমড়া ৩৫-৪০ টাকা, শিম ৭৫-৮০,আাদা ৩২০-৩৬০টাকা এবং রসুন ২০০-২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি আলু-৫৫-৭০ বাজারে সব ধরনেরশাকের আঁটি পাওয়া যাচ্ছে ১৫-২৫ টাকায়।দেশি পেঁয়াজ ৯৫-১০০ টাকা এবং আমদানিকরা ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি দরে।খুচরা বাজারে এক লিটারবোতলজাত সয়াবিন ১৬৫ টাকা, দুই লিটার ৩৩৪ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল১৫০-১৬০- টাকায় বিক্রি হচ্ছে।স্বর্ণা চাল -৫২-৫৪ টাকা, পাইজাম ৫৪-৫৫টাকা, বিআর-২৮-জাতের ৬০-৬৫ টাকা, মিনিকেট ৭৫-৭৮ টাকা ও নাজিরশাইল ৮৫-৯০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।খোলা চিনি-১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।প্যাকেট আটার দাম কমে ৬৫-৬৮ টাকা ও খোলা আটা ৫৮-৬০ টাকা, ছোলা ১০০-১১০টাকা এবং প্যাকেট ময়দা ৭৫-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।বাজারে আগের মতোই মসুরডাল (মাঝারি) ১২০ টাকা, চিকন ১৪০ টাকা, মুগডাল ২০০ টাকা এবং বুটডাল ১২০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।পোলট্রি মুরগির ডিমের হালি ৪৫-৪৭ টাকা।হাসেঁরডিম ৬০-৬৫ টাকা প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে।আকার ভেদে রুইমাছ ২৯০-৩৫০ টাকা,মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কার্প ৩১০-৩২০ টাকা, পাঙাশ ১৭০-১৮০ টাকা, তেলাপিয়া২২০-২৫০, কাতলা ৪০০-৪৫০ টাকা, বাটা ২৬০-২৮০ টাকা, শিং ৩৫০-৪৪০ টাকা,সিলভার কার্প ২৫০-২৮০ টাকা এবং গছিমাছ ৮৫০-১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রিহচ্ছে।রংপুরের জেলা প্রসাসক মো. মোশে^র হাসান বলেন,বন্যায় ক্ষতি গ্রস্থ কৃষকদেরসরকারী প্রণোদনার আওতায় আনা হয়েছে।ক্ষতি গ্রস্থ কৃষকদের দ্রæত সবাজি চাষেউৎসাহিত করতে কৃষি অধিদ্প্তরকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর