লালমনিরহাট বার্তা
রংপুরে জাল টাকার ব্যবসার অভিযোগে পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল
রংপুর অফিসঃ | ২৮ এপ্রি, ২০২২, ৫:৫৯ AM
রংপুরে জাল টাকার ব্যবসার অভিযোগে পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল
রংপুরে জাল টাকার ব্যবসার অভিযোগে পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে মহানগরির তাজহাট থঅনা পুলিশ।বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা মামলায় রংপুর মেট্রোপলিটান পুলিশের ট্রাফিক শাখায় কর্মরত এএসআই মোঃ আল আমিনকে প্রধান আসামি করে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। মামলার দীর্ঘ ৯ মাস পর গতকাল মঙ্গলবার চার্জশিট আদালতে দাখিল করা হয়েছে।
অভিযোগে জানা গেছে, এএসআই আল আমিন দীর্ঘদিন ধরে জাল টাকার ব্যবসা করে আসছিলেন। এর মধ্যে তার সঙ্গে পরিচয় হয় অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য তরিকুল ইসলামের ছেলে নগরীর পশ্চিম মুলাটোল মহল্লার বাসিন্দা সোহান ও তার বন্ধু নিউ ইঞ্জিনিয়ার পাড়ার ব্যবসায়ী হাজি রবিউল ইসলামের ছেলে জিসানের। গত ২১ সালের ৫ জুলাই ওই পুলিশ কর্মকর্তা মোবাইল ফোনে সোহান ও জিসানকে নগরীর সোডাপীর এলাকায় একটি হোটেলে ডাকেন। সেখানে আলোচনার একপর্যায়ে আল আমিন তার পকেট থেকে ৫০০ টাকার দুইটি বান্ডিল বের করে তাদের জানান, তার কাছে জাল টাকা আছে। এসব টাকা চালাতে পারলে অর্ধেক তাদের দেওয়া হবে। এতে দুই বন্ধু সম্মত না হলে অনেকটা জোর করেই পাঁচটি নোট তাদের হাতে দিয়ে বলেন প্রাথমিকভাবে এগুলো চালাও।বাধ্য হয়ে তারা নোটগুলো নিয়ে মিঠাপুকুরে যান। সেখান থেকে মোটর সাইকেলে ফেরার পথে দমদমা ব্রিজের কাছে পুলিশের চেকপোস্টে তল্লাশির সময় তারা জাল টাকার নোটগুলোসহ ধরা পড়েন। এরপর তাদেরকে আটক করে তাজহাট থানা পুলিশ হাজতে নিয়ে আসে। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনা খুলে বলেন। মোবাইল ফোনে থানার পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আল আমিনের কথাও বলিয়ে দেন। পুরো বিষয়টি তাজহাট থানা পুলিশ জানার পরও আল আমিনের নাম না দিয়ে তাজহাট থানার এসআই আশাদুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন। মামলায় সোহান ও জিসানকে আসামি করা হয়। পরে ওই দুই বন্ধু ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দিতেও বিষয়টি খুলে বলেন।
এদিকে, ছেলে সোহানকে নির্যাতন ও এএসআই আল আমিন তাকে জাল টাকা দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে ঘটনা তদন্ত করে সুবিচারের দাবিতে রংপুর মেট্রোপলিটান পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন অবসর প্রাপ্ত পুলিশ সদস্য তরিকুল ইসলাম।
রংপুর মেট্রোপলিটান পুলিশ কমিশনার আব্দুল আলীম সাংবাদিকদের বলেন, এএসআই আল আমিন জাল টাকার ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে প্রমাণিত হয়েছে। তদন্তে তার সরাসরি সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।
এই বিভাগের আরও খবর