লালমনিরহাট বার্তা
নাজিরপুরে ভাসমান সবজির বাজার
বার্তা অনলাইন ডেস্কঃ | ৭ জানু, ২০২৩, ২:১১ PM
নাজিরপুরে ভাসমান সবজির বাজার

পিরোজপুরের নাজিরপুরে বৈটাকাটা বেলুয়া নদীর বুকে জমে উঠেছে ভাসমান সবজি বাজার। জেলা শহর থেকে ৪৩ কি. মি. উত্তরদিকে এ ভাসমান সবজি বাজার অবস্থিত।

কৃষি প্রধান এ উপজেলায় বেশিরভাগ কৃষিপণ্য এ অঞ্চলে উৎপাদন হয়ে থাকে। ভাসমান বাজারটি বহুল প্রচারিত হওয়ায় দেশের চিতলমারী, মোড়েলগঞ্জ, বাগেরহাটসহ অন্যান্য জেলার কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য এ বাজারে নিয়ে এসে পাইকারি বিক্রয় করেন। বর্তমানে সপ্তাহে শনি ও মঙ্গলবার এ ভাসমান বাজারে বরবটি, কুমড়ো, পুঁইশাক, করল্লা, পটল, কাঁচকলা, টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাউ, শালগম, সবজি চারাসহ বিভিন্ন কৃষি পণ্যে ব্যাপক সমারোহ ঘটে। এ বাজার থেকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা কৃষি পণ্য ক্রয় করে বিভিন্ন বাজারে বিক্রয় করে। কৃষকেরা কাক ডাকা ভোর থেকে ডিঙ্গি নৌকায় কৃষি পণ্যের পরশা সাজিয়ে আসতে শুরু করে এবং ক্রেতারা ও বাজারে আসতে থাকে ভোর থেকে ফলে শীতের সকালেই শীতকালীন আগাম সবজিতে দৃষ্টি নন্দন হয়ে ওঠে বাজারটি। নদীর মধ্যে প্রতিটি সবজি ভরা নৌকাই যেন মনে হয় একটি দোকান ঘর। বাজারের দিনে বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার লোকজন দৃষ্টি নন্দন এ ভাসমান বাজার দেখতে আসে।

হাটে আসা বেশ কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, রাস্তাঘাট অনুন্নত থাকায় এবং শীতকালে খাল, নদী কচুরিপানায় আটকে পড়লে আমরা সময়মতো সবজি নিয়ে হাটে যেতে পারি না। ফলে অনেক সময় আমাদের উৎপাদিত সবজি নষ্ট হয়। এ সময় তারা সবজি সংরক্ষণের জন্য একটি কোল্ড স্টোরেজ স্থাপনের দাবি জানান।

বৈঠকাটা বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা তালুকদার বলেন, বাজারটি একশো বছরের পুরনো। এ বাজারে বিভিন্ন জেলা থেকে কাঁচামাল ট্রলারযোগে আসে আবার ভোলা, পাথরঘাটা, বামনা জেলা থেকে পাইকার এসে মালামাল কিনে নিয়ে যায়।

এ বিষয় উপজেলা কৃষি অফিসার ইশরাতুনেচ্ছা এশা বলেন, নাজিরপুরের বৈঠাকাটা নদীর বুকে ভাসমান বাজারটি একটি বৃহত্তম ঐতিহ্যবাহী পাইকারি সবজি বাজার। আমাদের একটি পাইলট প্রকল্প জমা দেওয়া রয়েছে, সেখানে কোল্ড স্টোরেজের দাবি উত্থাপন করা রয়েছে। পাইলট প্রকল্পটি পাশ হলে পরবর্তী অর্থবছরে কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন হয়ে যাবে।(সূত্রঃ ইত্তেফাক)

এই বিভাগের আরও খবর