রংপুর নগরীর কথা সাহিত্যিকের ছাদবাগানে শোভা ছড়াচ্ছে দুস্প্রাপ্য ও দুর্লভ মাধবীলতা ফুল ফুটেছে।বর্তমানে দেশে হাতে গোনা মাত্র কয়েকটি স্থানে মাধবীলতা গাছ রয়েছে। কথা সাহিত্যিক রানা মাসুদ বিগত কয়েক বছর থেকে বেশ কিছু দুর্লভ প্রজাতির গাছগাছালি দিয়ে ছাদ বাগান করেছেন।তার ছাদ বাগানে দুস্প্রাপ্য ও দুর্লভ ফুল দেখা গেছে।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারী) সকালে মাধবীলতা গাছে ফুলের দেখা মেলে নগরীর সেনপাড়ার বাসিন্দা কথা সাহিত্যিক শৌখিন আলোক চিত্রি রানা মাসুদের বাড়ির ছাদ বাগানে।
মাধবীলতা গাছের ফুল সম্পর্কে জানা গেছে, ফুল সাদা রঙের, পাঁচটি পাপড়ি এবং তার মধ্যে পঞ্চম পাপড়ির গোড়ার দিক হলদেটে। ফুল দেখতে তিল ফুলের মতো এবং সুগন্ধিযুক্ত। বসন্ত ও গ্রীষ্ম ঋতুতে এ ফুলের হলেও কখনো কখনও বর্ষা পর্যন্ত থাকে। ফুল থেকে ফল হয় এ লতা গাছটি এখন দুস্প্রাপ্য।
রংপুর বনবিভাগের ফরেষ্টার মোঃ মোশারফ হোসেন বলেন,মাধবীলতা গাছ বৃক্ষা রোহী লতা এবং দীর্ঘজীবী। ডাল ছোট ছোট এবং ঝোপঝাড় হয়ে যায়। বহুবর্ষী হলে ধীরে ধীরে মূল লতাটি বেশ মোটা হয়। ডাল দু-তিন বছর পরপর কেটে দিতে হয়। এর লতা যতই বাড়তে থাকে ততই নতুন নতুন ডালপালা গজায় এবং বেশি করে ফুল ফোটে। এর মোটা ডালের ছাল মেটে রঙের, ভেতরের কাঠ লালচে ও শক্ত। পাতা বিপরীতমুখী, আয়তাকার, বোঁটার দিক থেকে আগা ক্রমে সরু। সাধারণত ৪ থেকে ৬ ইঞ্চি লম্বা হয়। অনেকটা চাঁপা ফুলের পাতার মতো। বাগানের শোভার জন্য যত্ন করে মাধবীলতা গাছ লাগানো হয়।দুস্প্রাপ্য মাধবীতলা অযত্ন-অবহেলায়ও বীজ থেকে চারা হয়ে বেড়ে উঠতে পারে।
কথাসাহিত্যিক রানা মাসুদ বলেন, ‘ছোট ছোট কিছু প্রাপ্তির আনন্দ অনেক বড়। এই যেমন আজ বাড়িতে এ ফুলের প্রথম আগমনে যে আনন্দ তা বুঝিয়ে বলা সম্ভব নয়। এটাই আসল মাধবীলতা ফুল। আমার জানা মতে, একমাত্র মাধবীলতা গাছ এবং তাতে ফুল ধরেছে তা-ও আবার আমাদের বাড়িতে। মাধবীলতা ফুল দেখতে ঢাকার বোটানিক্যাল গার্ডেন এবং রমনা পার্কে গিয়েছিলাম। যা আজ নিজের আঙিনায় দেখছি। যা সত্যি আনন্দের ব্যাপার।
মাধবীলতা দেখতে আসা বৃক্ষপ্রেমী জীবনান্দ বলেন, ঢাকার বোটানিক্যাল গার্ডেনে এই মাধবীলতা ফুল দেখেছি। আজকে কথা সাহিত্যিক রানা মাসুদ ভাইয়ের বাড়ির ছাদে বিরল এ ফুলটি দেখে আমরা অনেকেই মুগ্ধ হলাম।
রংপুরের হর্টিকালচারাল সেন্টার বুড়ির হাটের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ আবু সায়েম বলেন, মাধবীলতা গাছ বৃক্ষারোহী লতা এবং দীর্ঘজীবী। এই মাধবীলতা ফুল দুস্প্রাপ্য ও দুর্লভ। এখন অনেকের ছাদ বাগানে শোভা পাচ্ছে।বর্তমান প্রকৃতিতে সচরাচর দেখা যায় না মাধবীলতা ।