মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
সর্বশেষ বিশেষ সংবাদ জাতীয় সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফস্টাইল আইন-আদালত মতামত অন্যান্য
/ জাতীয়

এমপিওভুক্ত শিক্ষক আন্দোলন দশম দিনে, সচিবালয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা


প্রকাশ :

দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলন আজও দশম দিনে প্রবেশ করেছে। মূল বেতন অনুযায়ী ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতা, চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধি এবং উৎসব ভাতা বাড়ানোর দাবিতে তারা সংগ্রাম চালাচ্ছেন।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকাল থেকেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর তারা কালো কাপড় মুখে বেঁধে শাহবাগে অবস্থান নেবেন।

এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী জানিয়েছেন, “আজ সকালে সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হচ্ছে। এরপর আমরা সচিবালয়ে যাচ্ছি। সরকার কি প্রস্তাব দেয়, তা শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবির মধ্যে রয়েছে:

  • মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতা,

  • চিকিৎসা ভাতা বর্তমান ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১,৫০০ টাকা করা,

  • উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৫০ শতাংশ থেকে ৭৫ শতাংশ করা।

গত ১২ অক্টোবর থেকে আন্দোলন শুরু হওয়া এই আন্দোলনে ১৭ অক্টোবর তারা সব বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিও যুক্ত করেছেন। বিএনপি, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ, ইনকিলাব মঞ্চসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটের শিক্ষক-ছাত্র সংগঠন তাদের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর সরকার প্রথম দফায় বাড়িভাড়া ভাতা ৫০০ টাকা বাড়িয়েছিল। তবে ৫ অক্টোবর সেই ঘোষণা প্রকাশ্যে আসার পর শিক্ষকরা তা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন শুরু করেন। এরপর ৬ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয় অর্থ বিভাগে ২,০০০–৩,০০০ টাকার প্রস্তাব পাঠায়। ১৯ অক্টোবর মূল বেতনের ৫ শতাংশ বা ন্যূনতম ২,০০০ টাকা বাড়িভাড়া ভাতা নির্ধারণ করা হলেও শিক্ষকরা ২০ শতাংশ বাড়িভাড়ার দাবিতে অনড় অবস্থান নিয়েছেন।

এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী বেতন পান। পূর্বে মাসে ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং ১,০০০ টাকা বাড়িভাড়া ভাতা পেয়েছিলেন, যা দুই দফায় বাড়িয়ে ন্যূনতম ২,০০০ টাকা করা হয়েছে। উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৫০ শতাংশ হারে প্রদানের ব্যবস্থা রয়েছে।