বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে— মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার অধিকার কারও নেই। সাম্প্রতিক সময়ে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে সেনাবাহিনীর কিছু কর্মকর্তার বিচার শুরু হলেও, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পুরো সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার প্রবণতা গভীর উদ্বেগের বিষয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনে জন্ম নেওয়া বাংলাদেশের জাতীয় সশস্ত্র বাহিনী জাতির গর্ব। কিন্তু গতবছর স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতনের আগে তার সরকার রাজনৈতিক স্বার্থে সেনাবাহিনীর কিছু সদস্যকে দলীয় ক্যাডারের মতো ব্যবহার করেছিল। এতে বাহিনীর ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একইভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী অন্যান্য বাহিনীতেও এই প্রভাব পড়েছিল। এর মধ্যে অনেকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত, কেউ গ্রেপ্তার এবং কেউ পলাতক।
তবে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মনে করে, বর্তমানে যে নেতিবাচক প্রচার চলছে তা একপাক্ষিক এবং অস্বাভাবিক। শুধুমাত্র সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক প্রচারণা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। বাহিনীর কতিপয় সদস্য অপরাধে জড়িত থাকলে তার দায় গোটা বাহিনীর ওপর চাপানো যায় না। অভিযোগগুলো বিচারাধীন, তাই বিচার প্রক্রিয়া চলাকালীন ব্যক্তিগত মন্তব্য বা প্রচারণা নিরপেক্ষ বিচার বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জাতীয় সশস্ত্র বাহিনীই দেশের প্রধান ভরসাস্থল। তাই বাহিনীকে সকল রাজনৈতিক বিতর্ক ও বিভাজনের ঊর্ধ্বে রাখতে হবে— এটি সরকারের পাশাপাশি প্রত্যেক দেশপ্রেমিক নাগরিকের দায়িত্ব।
বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর এবং সদস্য-সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক আহমেদ খান। (প্রেস বিজ্ঞপ্তি)