ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের গাজামুখী নৌবহরের কনশেনস নামের জাহাজ থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আটক বাংলাদেশি আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে অবিলম্বে মুক্ত করে নিরাপদে দেশে ফেরাতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।
বুধবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, ইসলামী আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান, গণসংহতি আন্দোলন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং নাগরিক কোয়ালিশনের পক্ষ থেকে এই দাবি জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময় সকাল সোয়া ১০টার দিকে শহিদুল আলম ফেসবুক লাইভে জানান, তাদের জাহাজটি মাঝসমুদ্রে ইসরায়েলি বাহিনী আটক করেছে এবং তিনি কার্যত অপহরণের শিকার হয়েছেন। তিনি ছিলেন আন্তর্জাতিক উদ্যোগ ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি) ও থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজা (টিএমটিজি) নৌবহরের অংশ কনশেনস নামের জাহাজে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল সরকারের অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, গাজাবাসীর প্রাণ বাঁচাতে এবং শহিদুল আলমসহ সব মানবাধিকারকর্মীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক মহলে কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি করা জরুরি। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান একে জাতীয় সম্মান ও মর্যাদার প্রশ্ন বলে মন্তব্য করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সরকারের কাছে দ্রুত মুক্তি এবং নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের জন্য কূটনৈতিক উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানায়। সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক রাফিকুজ্জামান ফরিদ বলেন, আলোকচিত্রীসহ গাজামুখী ত্রাণকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের দৃঢ় ভূমিকা প্রয়োজন। নাগরিক কোয়ালিশনও একই দাবি জানায়।
এদিকে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আটক অধিকারকর্মীদের মুক্তি ও ফিলিস্তিনে আগ্রাসনের প্রতিবাদে রাজধানীর ইস্কাটনে সমাবেশ করেছে গণসংহতি আন্দোলন। সেখানে সংগঠনটির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য তাসলিমা আখতার বলেন, ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে অপহৃত শহিদুল আলম ও অন্যদের মুক্তির দাবিতে দেশকে সোচ্চার হতে হবে। তাদের কোথায় রাখা হয়েছে কেউ জানে না, জীবননাশের ঝুঁকি রয়েছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে তাদের মুক্তিতে সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখতে হবে।