মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
সর্বশেষ বিশেষ সংবাদ জাতীয় সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফস্টাইল আইন-আদালত মতামত অন্যান্য
/ জাতীয়

বিমানের চাকা ধরে কাবুল থেকে দিল্লিতে কিশোর


প্রকাশ :

প্রায় দুই ঘণ্টার ভয়ংকর এই সফরের পরও আশ্চর্যজনকভাবে প্রাণে বেঁচে গেল ১৩ বছরের এক কিশোর। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে গত রবিবার। স্বাভাবিকভাবেই এ ঘটনায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে।

গত রবিবার কাবুল বিমানবন্দর থেকে সকাল ৮টা ৪৬ মিনিটে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল বেসরকারি বিমান সংস্থা ক্যাম এয়ারের বিমান আরকিউ৪৪০১। বিমানটি দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী বিমানবন্দরে পৌঁছায় সকাল ১০টা ২০ মিনিটে। বিমান থেকে সব যাত্রী নেমে যাওয়ার পর নিরাপত্তাকর্মীদের নজরে পড়ে এক কিশোর বিমানবন্দরের সংরক্ষিত অঞ্চলে দাঁড়িয়ে আছে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে আটক করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই সামনে আসে ভয়াবহ তথ্য। জানা যায়, নিরাপত্তাকে ফাঁকি দিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে লুকিয়ে কাবুল বিমানবন্দরে প্রবেশ করেছিল ছেলেটি। এরপর বিমানের পিছনের চাকার ল্যান্ডিং গিয়ারে লুকিয়ে পড়ে। কিশোরের অনুমান ছিল বিমানটি ইরান যাবে। তবে এই ভয়াবহ বিমান সফরের পরও কিশোরের প্রাণে বেঁচে যাওয়ার ঘটনায় আশ্চর্য বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এভাবে বিমান সফরের অর্থ মৃত্যুকে আলিঙ্গন করা। বিমান উড়াল দেওয়ার পর তার চাকা ভেতরে ঢুকে যায় এবং সেখানকার দরজা বন্ধ হয়ে যায়। চাকা ভেতরে প্রবেশের পর সেখানে সামান্য ফাঁকা থাকে। তবে গুটিসুটি মেরে বসার জন্যও তা যথেষ্ট নয়। শুধু তাই নয়, বিমান আকাশে ওড়ার  পর ১০ হাজার থেকে ৩০ হাজার ফুট উচ্চতা থেকে যায়। সেখানে তাপমাত্রা থাকে মাইনাস ৪০ থেকে ৬০ ডিগ্রি পর্যন্ত। অক্সিজেনও নেই বললেই চলে। এই অবস্থায় ঐ কিশোরের বেঁচে থাকা চরম আশ্চর্যজনক ঘটনা। ইতিমধ্যেই ঐ কিশোরকে আটক করেছে সিআইএসএফ। যদিও কিশোর নাবালক হওয়ার ফলে তার বিরুদ্ধে কোনো আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে না। তবে বিমানে এমন বিপজ্জনক সফর এই প্রথম বার নয়। এর আগে ১৯৯৬ সালে দিল্লি থেকে লন্ডনগামী একটি বিমানে একইভাবে সফর করেছিল দুই ভাই। অক্সিজেনের অভাব ও চরম শীতের কারণে তাদের মধ্যে এক জনের মৃত্যু হয়েছিল। তবে আশ্চর্যজনকভাবে বেঁচে যায় অন্যজন। 

- আনন্দবাজার পত্রিকা