মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২
সর্বশেষ বিশেষ সংবাদ জাতীয় সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফস্টাইল আইন-আদালত মতামত অন্যান্য
/ জাতীয়

জাতীয় ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত লালমনিরহাটের জামাল হোসেন


প্রকাশ :

বাংলাদেশে তরুণ স্বেচ্ছাসেবীদের জন্য প্রদত্ত সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি জাতীয়“ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড” অর্জন করেছেন লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার কৃতী সন্তান  জামাল হোসেন। (১৫ সেপ্টেম্বর) সোমবার সকাল ১১টায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হল মিলনায়তনে এক বর্ণাঢ্য রাষ্ট্রীয় আয়োজনে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস তার হাতে ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেন।

বাংলাদেশ সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রতিবছর দেশের তরুণ ও সমাজকর্মীদের  কাজের স্বীকৃতি দিতে  এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ বছর সারাদেশ ৫ ক্যাটাগরি হতে ১২ জন তরুণ সে¦চ্ছাসেবককে বাছাই করা হয়। তাদের মধ্যে জ্যেষ্ঠদের প্রতি আদর্শসেবা সমাজকল্যাণে অসাধারণ অবদানের জন্য জামাল হোসেনকে ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। তিনি ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠা করেন “সারপুকুর যুব ফোরাম পাঠাগার”। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সংগঠনটির মাধ্যমে তিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন নানা ধরনের সামাজিক কার্যক্রমে। এর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য রয়েছে—

প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য বয়স্ক শিক্ষা কর্মসূচি, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ ও সচেতনতা বৃদ্ধি, মাদকবিরোধী আন্দোলন, মানবপাচার প্রতিরোধ, পথ নাটক , দলিত ও হিজড়া সম্প্রদায়ের জীবনমান উন্নয়ন, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, বিদেশ ফেরত যুবকদের পুনর্বাসন ও প্রশিক্ষণ, নৈতিক ও প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক তৈরি।

এছাড়া তিনি জাতীয় যুব ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে তিনি সারা দেশের ৬৪ জেলা শহরের ১৯২টি প্রতিষ্ঠানে যুব নেতৃত্ব বিকাশে কাজ করছেন।

রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রাপ্তির পর অনুভূতি জানাতে গিয়ে জামাল হোসেন বলেন, “এ পুরস্কার শুধু আমার নয়, এটি লালমনিরহাটসহ দেশের হাজারো স্বেচ্ছাসেবীর সম্মান। সংকটময় সময়ে কিংবা দৈনন্দিন জীবনে সমাজের পাশে দাঁড়ানোই আমার মূল লক্ষ্য। এই সম্মাননা আমাকে ও অন্যদের আরও বেশি অনুপ্রাণিত করবে। আমি বিশ্বাস করি, এ পুরস্কার যুবসমাজকে সামাজিক কাজে নতুন উদ্যমে এগিয়ে আসতে উদ্বুদ্ধ করবে।”

আদিতমারী উপজেলায় জামাল হোসেনের এই সাফল্যকে স্থানীয়রা গর্বের অর্জন হিসেবে দেখছেন। তার সহকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা মনে করছেন, এই স্বীকৃতি শুধু একজন স্বেচ্ছাসেবীর ব্যক্তিগত অর্জন নয়, বরং সমগ্র লালমনিরহাট জেলার মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে।