মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
সর্বশেষ বিশেষ সংবাদ জাতীয় সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফস্টাইল আইন-আদালত মতামত অন্যান্য
/ জাতীয়

অবৈধ সম্পদ ও অর্থপাচার মামলায় জিএম কাদের দম্পতির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা


প্রকাশ :

জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জিএম কাদের) ও তার স্ত্রী শরীফা কাদেরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক ইব্রাহীম মিয়া এ আদেশ দেন।

জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে মনোনয়ন বাণিজ্যের মাধ্যমে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেওয়া, অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং অর্থপাচারের অভিযোগে অনুসন্ধান চালাচ্ছে দুদক। এর অংশ হিসেবেই তার ও স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করে সংস্থাটি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম।

দুদকের অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সংরক্ষিত নারী আসনের মনোনয়ন বাণিজ্যে প্রায় ১৮ কোটি ১০ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণ করা হয়, যার মূল সুবিধাভোগী ছিলেন তৎকালীন জাপার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের।

অভিযোগ অনুযায়ী, চুক্তি অনুযায়ী অর্থ পরিশোধ না করায় অধ্যাপক মাসুদা এম রশীদ চৌধুরীকে দলীয় পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় এবং তার জায়গায় সংসদ সদস্য হন জিএম কাদেরের স্ত্রী শরীফা কাদের।

আরও বলা হয়েছে, জিএম কাদের জালিয়াতির মাধ্যমে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের পদে বসেন এবং পদ ও মনোনয়ন বাণিজ্যের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা সংগ্রহ করে বিদেশে পাচার করেন। জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি ৩০১ সদস্যের হলেও বর্তমানে ৬০০-র বেশি করা হয়েছে, যা অভিযোগের প্রমাণ হিসেবে ধরা হয়েছে।

২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী, জিএম কাদেরের নামে নগদ ৪৯ লাখ ৮৮ হাজার টাকা, ব্যাংকে ৩৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকা এবং প্রায় ৮৫ লাখ টাকার একটি জিপ গাড়ি রয়েছে।

তার স্ত্রী শরীফা কাদেরের নামে নগদ ৫৯ লাখ ৫৯ হাজার টাকা, ব্যাংকে ২৮ লাখ ৯ হাজার টাকা এবং ৮০ লাখ টাকার একটি জিপ গাড়ি রয়েছে। এছাড়া ঢাকায় ফ্ল্যাট ও লালমনিরহাটে জমিসহ একাধিক স্থাবর সম্পত্তির তথ্যও পাওয়া গেছে।

উল্লেখ্য, জিএম কাদের ১৯৯৬ সালে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা এবং ২০০৯-২০১৪ মেয়াদে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।