বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২
সর্বশেষ বিশেষ সংবাদ জাতীয় সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফস্টাইল আইন-আদালত মতামত অন্যান্য
/ জাতীয়

লালমনিরহাটে টানা ৪ দিন ধরে দেখা মিলছে না সূর্যের


প্রকাশ :

টানা ৪ দিন ধরে লালমনিরহাটের আকাশে সূর্যের দেখা মিলছে না । ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পরেছে উত্তরাঞ্চলের এ জেলা। বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টির মতো ঝড়ছে কুয়াশা। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) লালমনিরহাট  সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২দশমিক ২ডিগ্রি সেলসিয়াস।  

গত ৪ দিন ধরে  সূর্যের দেখা না পাওয়ায়, কয়েক দিন ধরেই উত্তরাঞ্চলে বেড়েছে শীতের দাপট। শীতের তীব্রতা থেকে রেহাই পেতে গ্রামের মানুষেরা খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। ঘন কুয়াশার কারনে বেশি ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। সড়ক-মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে চলাচল করছে। গতকয়েক দিন থেকে সকাল সন্ধ্যা সমানতালে ঝির ঝির বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। কয়েকদিন থেকে ঠান্ডার দাপট বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতাল গুলোতে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, নিউমোনিয়া, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগ নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন। সবচেয়ে বেশি শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বয়োবৃদ্ধ ও শিশু রোগীরা। কনকনে ঠান্ডায় দুর্ভোগে পড়েছেন শ্রমিকসহ খেটে খাওয়া মানুষেরা। বিশেষ করে দাপুটে শীতে বেশি কষ্টে রয়েছেন তিস্তা তীরবর্তী এলাকার মানুষ। জেলা এবং উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে প্রয়োজনের তুলনায় ও অপ্রতুল বলছেন শীতার্ত মানুষেরা। সদর উপজেলার তিস্তার তীর খুনিয়াগাছ এলাকার বৃদ্ধা জামেলা বেওয়া(৬৫) জানান, আমি বিধবা মানুষ,শীতের শুরু থেকে অনেকের কাছে ঘুরেও কিছু পাইনি। আমি বৃদ্ধ মানুষ হলেও আমার দিকে কেউ তাকায় না। শীতে আমার জীবন শেষ, আমাকে দেখার কেউ নেই। কালমাটি এলাকার কৃষক শাকিল মিয়া বলেন, কয়েক দিন ধরেই সন্ধ্যার পর শীত একটু বেশি অনুভব হচ্ছে। রাত থেকে ভোর পর্যন্ত কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকছে পুরো এলাকা, গত ৪ দিন সূর্যের দেখা মিলছে না। কনকনে শীতে আমাদের কৃষিকাজ ব্যাহত হচ্ছে। 

রংপুর  আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুস্তাফিজার রহমান জানান, শুক্রবার  দুপুরে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আগামীতে তাপমাত্রা আরও কমে শীত বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আজ সারাদিনও সূর্যের দেখা না পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার জনকণ্ঠে  বলেন,ইতোমধ্যে জেলায় শীতার্ত মানুষের মাঝে  কম্বল বিতরণ পরিচালিত হচ্ছে। তিস্তা চরাঞ্চলের শীতার্ত মানুষকে গুরুত্ব দিয়ে তিস্তার চরাঞ্চলে তুলনামূলক বেশি শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম চালানো হচ্ছে ।