শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২
সর্বশেষ বিশেষ সংবাদ জাতীয় সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফস্টাইল আইন-আদালত মতামত অন্যান্য
/ আন্তর্জাতিক

সুদানের আল-ওবাইদে জানাজায় ড্রোন হামলায় ৪০ জন নিহত


প্রকাশ :

সুদানের কেন্দ্রীয় কর্দোফান প্রদেশের আল-ওবাইদ শহরে জানাজার সময় আধাসামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-এর ড্রোন হামলায় অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক কার্যালয় (ওসিএইচএ) এই তথ্য জানিয়েছে।

গৃহযুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞে বিপর্যস্ত দেশটিতে আল-ফাশার শহরে শতাধিক বেসামরিক নাগরিক হত্যার পরই নতুন করে এই হামলার খবর এসেছে। জাতিসংঘের দপ্তর বলছে, কর্দোফান অঞ্চলেও নিরাপত্তা পরিস্থিতি দ্রুত অবনতি ঘটছে।

স্থানীয় প্রশাসনের তথ্যমতে, একটি জানাজার তাঁবু লক্ষ্য করে ড্রোন হামলাটি চালানো হয়। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। কর্দোফান রাজ্য সরকার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, আরএসএফকে অবিলম্বে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণা করা হোক। তাদের অভিযোগ, আধাসামরিক বাহিনীটি নিরস্ত্র বেসামরিক মানুষের বিরুদ্ধে জাতিগত ও বর্ণগত ভিত্তিতে অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানিয়েছে, কেবল অক্টোবরের শেষ দিক থেকে উত্তর ও দক্ষিণ কর্দোফান অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান সহিংসতার কারণে ৩৮ হাজারের বেশি মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে।

গত ২৬ অক্টোবর আরএসএফ উত্তর দারফুর রাজ্যের রাজধানী আল-ফাশার দখল করে। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, সেখানে ব্যাপক গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে।

আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলে অবস্থিত ইতিহাসসমৃদ্ধ ও সাংস্কৃতিকভাবে বৈচিত্র্যময় দেশ সুদান ২০১৯ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশিরের পতনের পর থেকেই সংঘাত ও বিদেশি হস্তক্ষেপের দুষ্টচক্রে আটকা পড়েছে। জনঅস্থিরতা ও রাজনৈতিক চাপের মুখে আল-বশির অপসারিত হলেও পরবর্তীতে দেশটি আরও গভীর অস্থিরতার মুখে পড়ে।

একসময় আল-বশিরের পতনে একসঙ্গে কাজ করা সুদানি সেনাবাহিনী ও আরএসএফ পরবর্তীতে ক্ষমতার দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে। সেই সংঘাতই ২০২৩ সালের এপ্রিলে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে রূপ নেয়—যা আজও দেশটিকে ধ্বংসের কিনারায় ঠেলে দিচ্ছে।