লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অফিস সহায়ক আসামি আজমির হোসেনের পক্ষ দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ডাঃ তানভীর আহম্মেদ সাধারণ ইনজুরি উল্লেখ করে- মর্মে মিথ্যা চিকিৎসা সনদ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে,উপজেলার নওদাবাস ইউনিয়নের কেতকীবাড়ি গ্রামের আমিনুর রহমান ১৪ জুন দিনে আজমিরগং এর নির্যাতনের শিকার হয়ে ১৪ থেকে ২১ জুন হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ওই ঘটনায় হাতীবান্ধা থানা ফৌজদারি মামলা দায়েরের পর পুলিশ হাসপাতাল থেকে বাদীর চিকিৎসা সনদ তলব করেন।যা হাসপাতালে চিকিৎসা সনদ ও রোগীর ছাড়পত্রের মধ্যে কোন মিল নেই। কিন্তু বাদী আমিনুর রহমানের শরীরে বিভিন্ন আঘাতের চিহ্ন,মাথায় চারটি সেলাই এবং বাম হাতের শাহাদৎ আঙুল ভেঙ্গে যায়।
একপর্যায়ে ভুক্তভোগী বাদী নির্ভুল চিকিৎসা সনদ উপস্থাপনের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য পঃপঃকর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদন করেন এবং ঐ ডাঃ তানভিরের দ্বারস্ত হন ভর্তি রোগীর শারীরিক নির্যাতন সংক্রান্ত প্রকৃত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আমিনুর রহমান বলেন,আমি সঠিক চিকিৎসা সনদ চাইতে গেলে উল্টো আমার নামে থানা মিথ্যা সাধারণ ডাইরি করেন। তার এমন অপকর্মের কারণে অসংখ্য দরিদ্র অসহায় ভুক্তভোগী আদালতে যেয়ে ন্যায় বিচার বঞ্চিত হচ্ছেন বলে দাবি আমিনুরের। এ ব্যপারে ডাঃ তানভির বলেন, আপনার যদি কিছু জানার থাকে তাহলে তথ্য অধিকার আইনে অফিস বরারব আবেদন করেন।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ মোঃ মাসুদ পারভেজ বলেন, বিষয়টি দুঃখজন!আমি নিজেও তার সঙ্গে কথা বলেছিলাম কিন্তু বিষয়টি সুরাহা না হওয়ার আমার উর্ধতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছিলাম। স্যারও সঠিক চিকিৎসা সনদ দিতে বলেছেন।