আজ ১ অক্টোবর (মঙ্গলবার) বিশ্ব কফি দিবস। ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক কফি সংস্থা (আইসিও) দিনটিকে কফির জন্য উৎসর্গ করে। ২০১৫ সালে ইতালির মিলানে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক কফি দিবস পালিত হয় ঘটা করে।
এক কাপ ধোঁয়া ওঠা কফি ছাড়া অনেকের দিন শুরুই হয় না। আবার অলস দুপুরে ঘুম তাড়িয়ে চনমনে হয়ে উঠতেও চাই এক মগ কফি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বজুড়ে প্রতিদিন কফিপ্রেমীরা প্রায় ২.২৫ বিলিয়ন কাপ কফি খায়। কফির ঘ্রাণ যে কেবল মাদকতা জাগায় সেটাই নয়। কফির দারুণ কিছু গুণও রয়েছে। গবেষকরা বলছেন, ডায়াবেটিস, কার্ডিওভাসকুলার রোগ, প্রদাহজনক অন্ত্রের রোগ এবং লিভারের রোগের মতো অবস্থার জন্য কফি হতে পারে সহায়ক।
১. কফি টাইপ ২ ডায়াবেটিস থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে। ২০১৪ সালে ৪৮ হাজার জনের উপর একটি সমীক্ষা চালানো হয়। এতে দেখা যায় যারা ৪ বছরের মধ্যে প্রতিদিন কমপক্ষে এক কাপ কফি খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়েছে, তাদের টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ১১ শতাংশ পর্যন্ত কম।
২.বেশ কিছু গবেষণা বলছে, কফি এবং অন্যান্য অনেক পানীয়তে থাকা ক্যাফেইন পারকিনসন রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে।
৩.২০১৯ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে যে, কফি লিভার ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে পারে। এর আগে ২০১৫ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হওয়া একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছিল যে, প্রতিদিন দুই থেকে তিন কাপ কফি খাওয়ার ফলে অংশগ্রহণকারীদের হেপাটোসেলুলার কার্সিনোমা এবং দীর্ঘস্থায়ী লিভার ডিজিজ (সিএলডি) হওয়ার ঝুঁকি ৩৮ শতাংশ কমে যায়।
৪.যারা কফি পান করেন তাদের পিত্তথলির রোগের ঝুঁকিও কম থাকে
৫.পরিমিত পরিমাণে কফি খেলে রক্তচাপসহ কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্য ভালো থাকে। ২০১৮ সালের একটি গবেষণায় গবেষকরা দেখেছেন যে, প্রতিদিন তিন থেকে পাঁচ কাপ কফি পান করলে কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি ১৫ শতাংশ কমে যায়।
২০১৯ সালের একটি গবেষণা বলছে, কফি পানের সাথে ওজন হ্রাসের সাথে একটি সম্পর্ক রয়েছে।