শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২
সর্বশেষ বিশেষ সংবাদ জাতীয় সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফস্টাইল আইন-আদালত মতামত অন্যান্য
/ খেলা

মাশরাফির বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে যা বলছে সিলেট স্ট্রাইকার্স


প্রকাশ :

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দল সিলেট স্ট্রাইকার্সের মালিকানা নিয়ে হঠাৎ তোলপাড়। অস্ত্রের মুখে জোরপূর্বক ফ্র্যাঞ্চাইজিটির মালিকানা দখলের অভিযোগ উঠেছে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক এবং সাবেক সংসদ সদস্য মশরাফী বিন মোর্ত্তজার বিরুদ্ধে। সিলেট স্ট্রাইকার্সের সাবেক মালিক সারোয়ার চৌধুরী ফ্র্যাঞ্চাইজি দলটির সাবেক অধিনায়কের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

সিলেট স্ট্রাইকার্সের মালিকানা দখলের অভিযোগে গতকাল সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) মাশরাফীর বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্লবী থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মাশরাফী ও তার লোকজন মিলে ২০২৩ সালে সিলেট স্ট্রাইকার্সের মাদার প্রতিষ্ঠান ফিউচার স্পোর্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের  ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার জোরপূর্বক নিয়ে নেন। বিনিময়ে অর্থ পরিশোধ না করে তাকে উল্টো প্রাণনাশের হুমকি দেন।

মামলার খবর ছড়িয়ে পড়তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ যেন হজমই করতে পারছেন না তার সমর্থকরা। তবে সিলেট স্ট্রাইকার্স এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। ফ্র্যাঞ্চাইজিটির ফেসবুক পেজে এরই মধ্যে বিবৃতি দিয়েছে তারা।

সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'সিলেট স্ট্রাইকার্সের এক শতাংশের মালিকানাও মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার কখনো ছিল না। এখনও নেই। জোর করে মালিকানা লিখে নেওয়ার প্রশ্নই আসে না। ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানার যে কাগজপত্র বিসিবির কাছে আছে, সেখানেও মাশরাফির নাম নেই।'

সেই বিবৃতির পুরো অংশ হুবহু পাঠকের জন্য তুলে দেয়া হলো-

এবার আপনাদের একটি গল্প শোনাই। বিপিএলের প্রথম আসরে অংশ নিয়েই সাড়া জাগিয়েছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। মাশরফির নেতৃত্বে আমরা রানার্স আপ হয়েছিলাম। মাঠের ভেতরে-বাইরে আমাদের পেশাদারিত্ব, সিলেট সর্বস্তরের মানুষ থেকে শুরু করে সারা দেশের সমর্থকদের সম্পৃক্ত করতে পারা, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আমাদের উপস্থাপনা, সবকিছুই ছিল দারুণ প্রশংসিত। তার পরও দ্বিতীয় মৌসুমে আমাদের দল গঠন প্রক্রিয়ায় কেন ধস নামে?

শুরুতে সিলেট স্ট্রাইকার্সের ৬০ শতাংশের মালিকানা ছিল সারোয়ার গোলাম চৌধুরীর। সহ-স্বত্বাধিকারীদের সঙ্গে সক্রিয় হয়ে তিনি কাজ করছিলেন। কিন্তু যখন ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক থেকে শুরু করে অন্যান্য খরচের পালা আসে, ক্রমে তাকে পিছু হটতে দেখা যায়। অনেক ক্রিকেটার ও ম্যানেজমেন্টের কয়েকজন সদস্যের পারিশ্রমিক, পরিচলন খরচ ও আরও বিভিন্ন খাতে তার অংশের কয়েক কোটি টাকা বাকি রেখেই তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান। তার সঙ্গে যোগাযাগ করা হলে বারবার আশ্বাস দেওয়ার পরও কোনো পদক্ষেপ তিনি নেননি। সিলেট স্ট্রাইকার্সের ক্রিকেটার, কোচ, ম্যানেজমেন্টের অন্যান্য সদস্য ও সংশ্লিষ্ট অনেকেরই এটা জানা।

শেষ পর্যন্ত পাওনা টাকা শোধ করতে না পেরে গত বছরের আগস্টে তিনি নিজ থেকেই অন্যান্য স্বত্বাধিকারীর ওপর মালিকানা ছেড়ে দেন। বিসিবিকেও তিনি ই-মেইল দিয়ে নিজের সরে যাওয়ার কথা জানান।