রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
দক্ষিণ চীন সাগরে নিয়মিত মহড়ার সময় অল্প বিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার ও একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। রবিবার (২৬ অক্টোবর) ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মার্কিন নৌবাহিনীর প্রশান্ত মহাসাগরীয় কমান্ড। উভয় দুর্ঘটনায় কেউ নিহত হয়নি; সব ক্রু সদস্যকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে।
নৌবাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস নিমিৎজ থেকে উড্ডয়নকালে এমএইচ–৬০আর ‘সি হক’ হেলিকপ্টারটি সমুদ্রে পড়ে যায়। হেলিকপ্টারটি ছিল হেলিকপ্টার মেরিটাইম স্ট্রাইক স্কোয়াড্রন (এইচএসএম)–৭৩–এর অধীন ‘ব্যাটল ক্যাটস’ ইউনিটের। দ্রুত উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে তিন ক্রু সদস্যকেই জীবিত উদ্ধার করা হয়।
এর আধঘণ্টা পর, বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটে একই রণতরী থেকে উড্ডয়ন করা এফ/এ–১৮এফ ‘সুপার হর্নেট’ যুদ্ধবিমানটিও প্রশিক্ষণ চলাকালে সমুদ্রে বিধ্বস্ত হয়। স্ট্রাইক ফাইটার স্কোয়াড্রন (ভিএফএ)–২২–এর ‘ফাইটিং রেডককস’ ইউনিটের এই বিমানের দুই পাইলট নিরাপদে ইজেকশন করে উদ্ধার হন।
দুটি দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু করেছে মার্কিন নৌবাহিনী।
দক্ষিণ চীন সাগর বিশ্বের অন্যতম কৌশলগত জলপথ, যা ঘিরে রয়েছে চীনসহ কয়েকটি দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশ। আন্তর্জাতিক আদালতের রায় উপেক্ষা করে প্রায় পুরো জলসীমার ওপর সার্বভৌমত্ব দাবি করে আসছে চীন। সেখানে যুক্তরাষ্ট্র নিয়মিত টহল ও মহড়া চালিয়ে বেইজিংয়ের সামরিক সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে অবস্থান জানিয়ে আসছে।
ঘটনাগুলো এমন এক সময়ে ঘটল, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এশিয়া সফরে রয়েছেন এবং শিগগিরই চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বাণিজ্য বিষয়ক বৈঠক করার কথা রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য টানাপোড়েনের প্রেক্ষাপটে এই সফরকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরুতে লোহিত সাগরেও যুক্তরাষ্ট্রের দুটি ‘সুপার হর্নেট’ জেট দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। প্রতিটি এফ/এ–১৮ যুদ্ধবিমানের মূল্য আনুমানিক ৬ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ইউএসএস নিমিৎজ যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে পুরোনো বিমানবাহী রণতরী, যা আগামী বছর অবসর নেবে বলে জানা গেছে।
