ইউরোপের অভিবাসন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত পর্তুগালে দিন দিন বেড়েই চলেছে প্রবাসী বাংলাদেশির সংখ্যা। ২০২৪ সালের শেষের দিকে দেশটিতে বসবাসরত বাংলাদেশির সংখ্যা পৌঁছেছে ৫৫,১৯৯ জনে। এর মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ৪৮,১২৮ এবং নারীর সংখ্যা ৭,০৭১।
পর্তুগিজ অভিবাসন সংস্থা আইমা (Agency for Integration, Migration and Asylum) প্রকাশিত সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত এবং নেপালের পর বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম অভিবাসী উৎস দেশগুলোর মধ্যে একটি।
২০২৪ সালে নতুন করে পর্তুগালে বসবাসের অনুমতি (রেসিডেন্স কার্ড) পেয়েছেন ১০,৮৪৮ জন বাংলাদেশি, যা ২০২৩ সালের তুলনায় সামান্য বৃদ্ধি নির্দেশ করে। নতুন এই বাসিন্দাদের মধ্যে ৮৫ শতাংশই ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সী কর্মক্ষম নাগরিক, যারা মূলত দেশের শ্রমবাজারে যুক্ত হয়েছেন।
গত বছরের শেষে পর্তুগালে বিদেশি নাগরিকের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫,৪৩৬,৯৭ জন, যা ২০১৭ সালের তুলনায় প্রায় চারগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রাজিলীয় নাগরিকরা এখনও পর্তুগালে বসবাসরত বিদেশিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি, মোট ৪,৮৪,৫৯৬ জন। এরপর রয়েছে ভারত, আঙ্গোলা, ইউক্রেন, কেপ ভার্দে, নেপাল, বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য, গিনি-বিসাউ এবং পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশ। বাংলাদেশের অবস্থান পর্তুগালে অভিবাসীদের মধ্যে সপ্তম।
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে আগত নতুন অভিবাসীরা কৃষি, নির্মাণ, হসপিটালিটি ও লজিস্টিক খাতে পর্তুগালের শ্রমবাজারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।