আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২০৫ জনে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী আহত হয়েছেন অন্তত ৩ হাজার ৬৪০ জন। ধ্বংসস্তূপে এখনও মরদেহ ও জীবিতদের খুঁজে চলেছে উদ্ধারকর্মীরা।
দুর্গত এলাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় ত্রাণ ও উদ্ধার তৎপরতায় বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। ভূমিকম্পের কয়েক দিন পরও অনেক এলাকায় সাহায্য পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
গত রোববার রাতে পাকিস্তান সীমান্তবর্তী পার্বত্য অঞ্চলে ৬ দশমিক শূন্য মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে উৎপন্ন এই কম্পনে কুনার ও নানগারহার প্রদেশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কাদামাটি ও ইটের ঘর ধসে পড়ায় ঘুমন্ত অবস্থায় বহু মানুষ প্রাণ হারান।
পরাঘাতের ভয়ে দুর্গতদের অধিকাংশ এখন খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কুনার প্রদেশে সবচেয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে, পাশাপাশি নানগারহার ও লাঘমানেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পাহাড়ি এলাকায় পাথরধসের কারণে উদ্ধারকর্মীদের কাজ কঠিন হয়ে পড়েছে।
এদিকে গৃহহীনদের সামনে এখন অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ। আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলো সতর্ক করছে যে তাদের সহায়তার মজুদ দ্রুত শেষ হয়ে আসছে। তালেবান প্রশাসন জানিয়েছে, দুর্গম এলাকায় এখনো উদ্ধার অভিযান চলছে এবং ধ্বংসস্তূপে অনেকেই আটকা থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কুনারের বাসিন্দা আলেম জান বলেন, আমাদের যা কিছু ছিল সব শেষ। শুধু শরীরে যে কাপড় আছে, তাই অবশিষ্ট। তিনি জানান, তাঁর পরিবার এখন গাছের নিচে সামান্য মালপত্র নিয়ে দিন কাটাচ্ছে।