রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
সর্বশেষ বিশেষ সংবাদ জাতীয় সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফস্টাইল আইন-আদালত মতামত অন্যান্য
/ আন্তর্জাতিক

‘মমতা দিদি, দয়া করে আমাদের ফিরিয়ে নিন’


প্রকাশ :

ভারতের বীরভূম জেলার দুই পরিবারের সদস্যদের বাংলাদেশে পুশইনের ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে ভারতীয় নাগরিকদের প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও ‘বাংলাদেশি’ আখ্যা দিয়ে জোর করে সীমান্তে পাঠিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বীরভূমের পাইকরের বাসিন্দা দানিশ শেখ ও সোনালি খাতুন নামের এক দম্পতি ও তাদের পরিবারের আরও কয়েকজন সদস্য সম্প্রতি বিএসএফের মাধ্যমে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, গত ১৮ জুন দিল্লি পুলিশ দানিশ শেখ, তার স্ত্রী সোনালি, তাদের পাঁচ বছরের সন্তান, সুইটি বিবি নামের এক নারী এবং তার দুই শিশুপুত্রকে গ্রেপ্তার করে। এরপর ২৬ জুন তাদের বিএসএফের মাধ্যমে বাংলাদেশে পাঠানো হয়। ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি, তারা ভারতীয় নাগরিক এবং পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা। তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র হিসেবে আধার কার্ড থাকলেও দিল্লি পুলিশ তা গ্রহণ করেনি।

সোনালি ও সুইটি নামের দুই নারী ভিডিও বার্তায় কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশি নই, কাজের জন্য দিল্লিতে গিয়েছিলাম। পুলিশ আমাদের মোবাইল ও টাকা কেড়ে নিয়েছে, নির্যাতন করেছে, এখন বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে। আমাদের কাছে সন্তানদের খাওয়ানোর কিছু নেই, থাকার জায়গাও নেই। মমতা দিদি, দয়া করে আমাদের দেশে ফিরিয়ে নিন।’

এই ভিডিও বার্তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ শেয়ার করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সামিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুর্গাপুরে অনুপ্রবেশ নিয়ে অনেক কথা বলেছেন। অথচ বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, বাংলা ভাষায় কথা বলায় ভারতীয় নাগরিকদেরই বহিষ্কার করা হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা সোনালি এখন অনিশ্চয়তার মধ্যে বাংলাদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এই ঘটনা শুধু প্রশাসনিক ব্যর্থতা নয়, এটি মানবিকতারও চরম লঙ্ঘন।

সামিরুল ইসলাম মোদির উদ্দেশে বলেন, ‘এই মানুষেরা ভারতীয়। আপনার সরকারের দায়িত্ব তাদের পাশে দাঁড়ানো, তাদের অধিকার রক্ষা করা।’

ঘটনার প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টে দুটি হেবিয়াস কর্পাস মামলা দাখিল করা হয়েছে। তবে এখনো কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।