রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
সর্বশেষ বিশেষ সংবাদ জাতীয় সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফস্টাইল আইন-আদালত মতামত অন্যান্য
/ আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশিদের আশ্রয় দিয়ে বাংলার সাংস্কৃতিক-সামাজিক পরিচয় বিপন্ন করেছে তৃণমূল: মোদি


প্রকাশ :

২০২৬ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের আগে আবারও তীব্র হয়ে উঠেছে ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী’ বনাম ‘বাঙালি হেনস্তা’ বিতর্ক। গতকাল শুক্রবার (১৮ জুলাই) পশ্চিমবঙ্গের শিল্পনগরী দুর্গাপুরের জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরাসরি অভিযোগ করেছেন, ‘তৃণমূল সরকার বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দিয়ে বাংলার সাংস্কৃতিক ও সামাজিক পরিচয় বিপন্ন করেছে।’ তাঁর স্পষ্ট বার্তা, ‘দেশের সংবিধান অনুযায়ী যারা বেআইনি অনুপ্রবেশকারী, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলার মানুষ যেভাবে হেনস্তার শিকার হচ্ছেন, সেটা আর বরদাশত করা যাবে না। বাংলায় এখন এমন এক সরকার চলছে, যারা অপরাধীদের আড়াল করছে, আর সাধারণ নাগরিকের কণ্ঠ রোধ করছে।’

শুধু রাজনৈতিক আক্রমণেই থেমে থাকেননি মোদি। দুর্গাপুরে ৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকার একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করে তিনি বলেন, ‘তৃণমূল বাংলাকে কর্মহীন করে দিয়েছে। আমরা বাংলাকে আবার শিল্পনগরীতে পরিণত করব।’

আর জি কর হাসপাতালে ধর্ষণকাণ্ড প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘আজ বাংলায় হাসপাতালেও মেয়েরা সুরক্ষিত নয়। যারা এই অপরাধ করেছে, তারা তৃণমূলের আশীর্বাদপুষ্ট। বাংলার মানুষকে এই অপশাসনের জবাব দিতেই হবে।’

মোদির মন্তব্যের জবাবে পাল্টা আক্রমণ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘বাঙালিদেরই আজ রোহিঙ্গা বলে অপমান করা হচ্ছে। এই বিভাজনের রাজনীতি বাংলার মাটিতে চলবে না।’

২০২৬ সালের ভোটের আগে প্রধান দুই দল ইতিমধ্যেই নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে। মোদি যেখানে নিরাপত্তা ও অনুপ্রবেশের ইস্যুকে সামনে রেখেছেন, তৃণমূল সেখানে ‘বাঙালি হেনস্তা’র অভিযোগ তুলে ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা দিল।