ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলি খামেনি বলেছেন, সাম্প্রতিক যুদ্ধে ইরানি জাতি এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ের সৃষ্টি করেছে। বুধবার (১৬ জুলাই) সকালে দেশটির বিচার বিভাগের প্রধান ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
খামেনি বলেন, “এই লড়াই ছিল সাহস, দৃঢ় সংকল্প ও আত্মবিশ্বাসের প্রতীক। এটি প্রমাণ করে, ইরানি জাতি যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের অনুগত সহযোগী ইসরায়েলের মতো শক্তির মুখোমুখি হতেও প্রস্তুত।” তিনি এই মনোভাবকে ‘অমূল্য সম্পদ’ হিসেবে বর্ণনা করেন।
সাম্প্রতিক যুদ্ধে ইরানি জাতির ঐক্য ও প্রতিরোধের প্রশংসা করে খামেনি বলেন, “যুদ্ধ হোক বা কূটনীতি—প্রতিটি ময়দানে আমরা দুর্বল অবস্থানে যাই না। আমাদের হাতে যেমন যুক্তি আছে, তেমনি শক্তিশালী সামরিক ক্ষমতাও রয়েছে। আল্লাহর ইচ্ছায় আমরা প্রতিটি পরিস্থিতিতে দৃঢ়তার সঙ্গে প্রবেশ করি।”
তিনি বলেন, “আমরা কখনো যুদ্ধকে স্বাগত জানাইনি। কিন্তু শত্রু যখন হামলা চালিয়েছে, তখন আমরা শক্ত জবাব দিয়েছি। আমেরিকার যে ঘাঁটিতে আমরা পাল্টা আঘাত হেনেছি, তা ছিল এই অঞ্চলের অন্যতম স্পর্শকাতর ঘাঁটি। সেন্সর উঠে গেলে পুরো দুনিয়া বুঝতে পারবে, সেই আঘাত কতটা ভয়াবহ ছিল। প্রয়োজন হলে আমরা আরও বড় জবাব দিতে প্রস্তুত।”
খামেনি আরও বলেন, “আমরা ইসরায়েলকে ক্যান্সার বলেই মনে করি এবং যারা তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র—তাদেরও দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। শত্রুর আসল চেহারা ও তাদের ষড়যন্ত্র এখন জনগণের সামনে উন্মোচিত। আল্লাহর কৃপায় তাদের সব চক্রান্ত ব্যর্থ হয়েছে।” তিনি সকল মতবিরোধ ভুলে জাতীয় ঐক্য অটুট রাখার আহ্বান জানান, “দেশরক্ষায় এই ঐক্য ও সংহতি ধরে রাখা আমাদের সকলের দায়িত্ব।”