বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২
সর্বশেষ বিশেষ সংবাদ জাতীয় সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফস্টাইল আইন-আদালত মতামত অন্যান্য
/ আন্তর্জাতিক

লন্ডন সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা, সাক্ষাৎ চান টিউলিপ সিদ্দিক


প্রকাশ :

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস শিগগিরই লন্ডন সফরে যাচ্ছেন। সফরকালে তার যুক্তরাজ্যের রাজা চার্লস এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়্যার স্টারমারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে। এ সফর উপলক্ষে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি ও সাবেক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক।

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিক চিঠিতে লিখেছেন, তিনি ড. ইউনূসের সফরকে স্বাগত জানান এবং হাউস অব কমন্সে মধ্যাহ্নভোজ বা বিকেলের চায়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমাদের উভয়েরই জনসেবার প্রতি এক গভীর দায়বদ্ধতা রয়েছে। এই সময়ে সুশাসন, আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার রক্ষায় যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে, সে বিষয়ে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি শুনতে আগ্রহী।”

চিঠিতে টিউলিপ উল্লেখ করেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালনকালে ড. ইউনূসের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উদ্যোগ তাকে বরাবরই অনুপ্রাণিত করেছে।

তবে তিনি তার এই সাক্ষাৎচেষ্টার পেছনে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন। টিউলিপ লেখেন, “আপনার সঙ্গে সাক্ষাতে আমি আশা করি, আমার খালা শেখ হাসিনার সঙ্গে আত্মীয়তার কারণে যে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়েছে—বিশেষ করে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্ত সংক্রান্ত বিষয়ে—তা দূর করা যাবে।”

তিনি আরও বলেন, “আমি যুক্তরাজ্যের নাগরিক। জন্ম ও পেশাগত জীবন সবই লন্ডনে। বাংলাদেশের প্রতি আবেগ থাকলেও, সেখানে আমার কোনো ব্যক্তিগত সম্পত্তি, ব্যবসা বা পেশাগত সম্পৃক্ততা নেই।”

টিউলিপ অভিযোগ করেন, দুদক তার আইনজীবীদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেনি এবং ঢাকার একটি ঠিকানায় এলোমেলোভাবে নোটিশ পাঠিয়ে যাচ্ছে। অথচ গণমাধ্যমে তদন্ত সংশ্লিষ্ট তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। “এই তদন্ত যেন আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষ বা আমার দায়িত্ব পালনে কোনো প্রভাব না ফেলে, তা নিশ্চিত করা জরুরি,”—লিখেছেন তিনি।

চিঠির শেষাংশে টিউলিপ জানান, তিনি চাইলে ড. ইউনূসের সঙ্গে তার আইনি দলের প্রস্তুত করা বিস্তারিত লিখিত জবাব এবং যুক্তরাজ্যের সংসদীয় মানদণ্ড কমিশনের প্রতিবেদনও ভাগ করে নিতে প্রস্তুত—যেখানে তাকে সব ধরনের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

“আপনার ব্যস্ত সময়সূচির মধ্যে আমাদের সাক্ষাতের জন্য সুবিধাজনক সময় জানালে কৃতজ্ঞ থাকব,”—এই বার্তায় চিঠিটি শেষ করেন তিনি।