বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২
সর্বশেষ বিশেষ সংবাদ জাতীয় সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফস্টাইল আইন-আদালত মতামত অন্যান্য
/ আন্তর্জাতিক

গাজায় ইসরাইলের কর্মকাণ্ড যুদ্ধাপরাধের কাছাকাছি: সাবেক প্রধানমন্ত্রী


প্রকাশ :

ইসরাইল গাজায় যা করছে, তা যুদ্ধাপরাধের খুব কাছাকাছি বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী এহুদ ওলমার্ট। মঙ্গলবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। 

এহুদ ওলমার্ট আরও বলেন, ‘এই যুদ্ধের স্পষ্ট চিত্রটা এমন যে হাজার হাজার নিরীহ ফিলিস্তিনি নিহত হচ্ছেন, পাশাপাশি বহু ইসরাইলি সেনাও মারা যাচ্ছেন। সবদিক থেকেই এটা জঘন্য ও ঘৃণিত।’

২০০৬ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকারী এই রাজনীতিবিদ বলেন, ‘এই যুদ্ধের স্পষ্ট কোনো লক্ষ্য নেই এবং এটি এমন কোনো অর্জনের সম্ভাবনাও দেখাচ্ছে না, যা জিম্মিদের জীবন রক্ষা করতে পারে...আমরা হামাসের খুনিদের বিরুদ্ধে লড়ছি, নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে নয় এবং এটি স্পষ্ট হওয়া উচিত।’ওলমার্টের এমন মন্তব্যে ইসরাইলের একাধিক রাজনীতিক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ওলমার্টের লজ্জা পাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির শিক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ কিশ।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ইয়োয়াভ কিশ লিখেছেন, ‘যখন আইডিএফের সেনারা আমাদের ধ্বংস করে দিতে চাওয়া নৃশংস সন্ত্রাসের সঙ্গে জীবন বাজি রেখে লড়ছেন, তখন তিনি (ওলমার্ট) উসকানি দিচ্ছেন এবং তাদের পিঠে ছুরি মারছেন।’

সামাজিক সমতাবিষয়ক মন্ত্রী মাই গোলান সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের জবাবে লিখেছেন, ‘এ যুদ্ধের একমাত্র অপরাধ হলো আপনি (আইডিএফের) যোদ্ধাদের মুখে থুতু ছিটাচ্ছে। অথচ তাঁরা আধুনিক যুগের নাৎসি শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। আর হ্যাঁ, গাজায় নিরীহ মানুষ আছে, যার সঠিক সংখ্যা ৫৮।’ ৫৮ দ্বারা তিনি এখনো গাজায় থাকা ইসরাইলি জিম্মিদের কথা বুঝিয়েছেন। ওলমার্টকে অভিযুক্ত করে লিকুদ পার্টির এমপি নিসিম ভাতুরি বলেন, ‘তিনি একজন দুর্নীতিগ্রস্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী, যিনি (ইসরাইল) রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এখানে রয়েছেন। তিনি আত্মঘৃণায় ভুগছেন এবং এখন হামাসের মুখপাত্রে পরিণত হয়েছেন।’

বিবিসিকে দেওয়া আরেকটি সাক্ষাৎকারে ওলমার্ট বলেছিলেন, গাজা উপত্যকার ওপর ইসরাইলের সম্পূর্ণ অবরোধ যুদ্ধাপরাধ বা গণহত্যা কি না, সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত নই। তবে তখন তিনি ইসরাইলের অবরোধকে ‘সম্পূর্ণ অসহনীয়, অগ্রহণযোগ্য এবং ক্ষমার অযোগ্য’ হিসেবে নিন্দা করেছিলেন।