শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২
সর্বশেষ বিশেষ সংবাদ জাতীয় সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফস্টাইল আইন-আদালত মতামত অন্যান্য
/ আন্তর্জাতিক

তবলা বাদক ওস্তাদ জাকির হোসেনের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ উপমহাদেশের শোবিজ অঙ্গনসহ বিভিন্ন মহল


প্রকাশ :

উপমহাদেশের অন্যতম তবলা বাদক ওস্তাদ জাকির হোসেনের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ উপমহাদেশের শোবিজ অঙ্গনসহ বিভিন্ন মহল। রোববার সান ফ্রান্সিসকোর হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন কিংবদন্তি এই শিল্পী। অতঃপর, স্তব্ধ হয়ে পড়ল তবলায় জাদু স্পর্শ।

১৯৫১ সালে মুম্বাইয়ে জন্ম জাকিরের। তার পিতা ওস্তাদ আল্লা রাখাও ছিলেন প্রখ্যাত তবলাবাদক। ভারত সরকারের পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ, পদ্মবিভূষণ সম্মানে ভূষিত হয়েছেন জাকির। মাত্র তিন বছর বয়স থেকে তবলার সফর শুরু তার। সাত বছর বয়স থেকে মঞ্চে একক অনুষ্ঠান করেছেন তিনি। ২০২৪ সালে জাকিরের হাত ধরেই ভারতে আসে গ্র্যামি পুরস্কার। 

জাকিরের এমন কর্মজীবনে তার ব্যক্তিগত জীবন আড়ালেই ছিল সব সময়। মুসলিম পরিবারের ছেলে জাকির বিয়ে করেছিলেন ভিন্নধর্মী। পরিবারের মত ছাড়াই ভয়েস আর্টিস্ট আন্তোনিয়া মিনেকোলাকে বিয়ে করেন তিনি।

আলি আকবর খানের সৌজন্যে প্রথম দেখা আন্তোনিয়া ও জাকিরের। প্রথম দেখাতেই তবলাবাদককে খুব আপন মনে করে নেন আন্তোনিয়া। সেই সময় যুবক জাকিরের মিষ্টি স্বভাব মন কাড়ে তার। সেখান থেকেই শুরু প্রেম, প্রায় সাত বছরের সম্পর্ক। পরিবারে জাকিরই এমন ছেলে, যার বিয়ে হয় ভিন্নধর্মে। তাই তো মায়ের আপত্তি ছিল শুরুতে। সে জন্য মায়ের অনুমতি ছাড়াই আন্তোনিয়াকে বিয়ে করেন জাকির। যদিও জাকিরের বাবা এ সব ঘটনা জানতেন।

এক সাক্ষাৎকারে জাকির বলেছিলেন, ‘আসলে, বাড়িতে প্রথম কেউ এভাবে বিয়ে করেছে। তাই আমার মায়ের মেনে নেওয়াটা কঠিন ছিল। প্রথম আমরা ধর্মীয় রীতিনীতি মেনেই বিয়ে করি, তারপর আইনি মতে। সব সময় অবশ্য বাবা পাশে ছিলেন। মাকে রাজি করানোর দায়িত্ব ছিল বাবার কাঁধে। বিয়ের পর মাকে বাবা বলেন, ‘বিয়েটা ওরা সেরে ফেলেছে।’ এরপর যদিও সময়ের ব্যবধানে শিল্পীর স্ত্রী ও তার মায়ের সম্পর্ক সহজ হয়।