কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ফার্মাসিস্ট দুর্বৃত্তের হামলায় রক্তাক্ত হয়েছেন ফার্মাসিস্ট আবু মোত্তালেব।হামলার শিকার আবু মোত্তালেব ওরফে মামুন রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ফার্মাসিস্ট পদে দায়িত্বে রয়েছেন।
শনিবার(২৮জুন) সকালে আবু মোত্তালেব ওরফে মামুন কর্মস্থল রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডিউটিটে যোগদান করি,দুপুর বারোটার দিকে আমাকে চা খাওয়ার জন্য মেডিকেল গেটে দুজন ডাকেন। চায়ের দোকানে গেলে আমার নাম ও পরিচয় জেনেই আক্রমণ করে। এতে আমার নাক ফেটে গিয়ে শরীরে রক্তপাত ঘটে।এছাড়াও মুখ ও চোখেও কিল-ঘুষি মারে তারা।আমার উপরে হামলাকারীরা হচ্ছেন কাঠালবাড়ী ইউনিয়নের খোলারপাড় গ্রামের আব্দুল জলিলের পুত্র অটোচালক মাছুম ও টগরাইহাটের সাবু।
চা খেতে মেডিকেলের বাহিরে কেন? জানতে চাইলে আবু মোত্তালেব বলেন আমাদের হাসপাতালে ক্যান্টিন নেই, তাই শুধু আমি নই সকলেই মেডিকেল গেট চত্বরে চায়ের দোকানে যাই।ক্যান্টিন থাকলে আমাকে মেডিকেলের বাহিরে যেতে হতোনা।হামলায় আহত ফার্মাসিস্ট কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের শিবরাম গ্রামের আব্দুর রশিদ ব্যাপারীর পুত্র।
এবিষয়ে রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মেডিকেল অফিসার ডা: মনীষা দাশ বলেন,আমাদের স্টাফ আবু মোতালেব উনি চা খাওয়ার জন্য সামনে চায়ের দোকানে গিয়েছিলেন তখন ওনার উপরে হামলা হয়, আমাদের কিছু পরিচিত লোকজন জরুরী বিভাগে নিয়ে আসেন।ওনার দুই নাক দিয়ে গলগল করে রক্ত পড়ে পুরো শার্ট ভিজে গিয়েছিল, এবং উনার নাকে ফুলা ছিল এবং ডানপাশের চোখে নিচে উনার ফোলা ছিল,ওনাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে অত্র হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।তিনি আরও বলেন,আমাদের রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আমাদের ডাক্তার কর্মচারী কর্মকর্তা সবার পরিমাণই খুব কম যেহেতু,সেহেতু আমাদের একটা সার্বিক নিরাপত্তার একটা বিষয় আছে? আমরা চাই, আজকে যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটা আমার সাথে বা আমার কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী কারো সাথেই যেন না ঘটে, আমাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হউক।
রাজারহাট থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: তসলিম উদ্দিন বলেন এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ প্রদান করে নাই। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।#(ছবি সংযুক্ত)