বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে নিহত শহীদ ফয়জুল ইসলাম ওরফে রাজনের কবর ভাঙচুরের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ওই মামলার ২ নম্বর আসামি আনোয়ার হোসেন (৫৭) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার আনোয়ার কেরানীগঞ্জ মডেল থানা শ্রমিকদলের সদস্য।
শনিবার
(২৭ এপ্রিল) রাতে কেরানীগঞ্জ মডেল
থানাধীন তারানগর ইউনিয়নের বাহেরচর এলাকা থেকে আনোয়ারকে গ্রেপ্তার
করে পুলিশ। এর আগে সেদিন
রাতে শহীদ রাজনের মা
মাহমুদা বেগম বাদী হয়ে
কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা
দায়ের করেন। মামলায় সাতজনকে এজাহারভুক্ত করে অজ্ঞাতনামা আরও
১০ থেকে ১২ জনকে
আসামি করা হয়।
এদিকে
কবর ভাঙচুরের ঘটনায় রোববার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা
নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিনাত ফৌজিয়া। এসময় শহীদ রাজনের
মা মাহমুদা বেগম তার পাশেই
ছিলেন। পরিদর্শন শেষে তিনি ভাঙচুর
করা কবর অতিসত্বর মেরামত
করার নির্দেশ দেন।
শহীদ
রাজনের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত
বছরের ১৯ জুলাই ছাত্র
আন্দোলনে অংশ নিয়ে মিরপুর
১০ এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন
ফয়জুল ইসলাম রাজন। পরে কেরানীগঞ্জের বাহেরচর
কেন্দ্রীয় কবরস্থানে তার লাশ দাফন
করা হয়। পরবর্তী সময়ে
সরকারের পক্ষ থেকে ওই
কবরের চারপাশে সীমানা দেয়াল নির্মাণের কাজ চলছিল।
শনিবার
বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে
তারানগর ইউনিয়নের উত্তর বাহেরচর এলাকার বাহেরচর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে শহীদ ফয়জুল ইসলাম
ওরফে রাজনের কবর ভাঙচুর করে
দুর্বৃত্তরা।
রাজনের
বড় ভাই মোহাম্মদ রাজু
বলেন, আমাদের দাবি আনোয়ারের সঙ্গে
যারা জড়িত তাদের সবাইকে
আইনের আওতায় নিয়ে আসা হোক।
যাতে আর কেউ শহীদদের
এভাবে অসম্মান করতে না পারে।
বৈষম্যবিরোধী
ছাত্র আন্দোলনের কেরানীগঞ্জ মডেল থানার আহ্বায়ক
শাফায়েত ঢালী বলেন, শহীদ
রাজনের কবর ভাঙচুরের ঘটনায়
গ্রেপ্তার সুরুজ মিয়ার ছেলে আনোয়ার কেরানীগঞ্জ
মডেল থানা শ্রমিকদলের সক্রিয়
কর্মী। তার সঙ্গে আরও
যারা জড়িত ছিল তাদের
সবাইকে শিগগিরই গ্রেপ্তার করতে হবে।
কেরানীগঞ্জ
মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আরমানুল
হক ডাবলু বলেন, শহীদ রাজনের কবর
ভাঙচুরের ঘটনায় মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আনোয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ
ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামিদের
গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত।
প্রসঙ্গত,
গত ১৫ মার্চ দক্ষিণ
কেরানীগঞ্জের আব্দুল্লাহপুর করেরগাঁও এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত শহীদ
সায়েম হোসেনের কবরও ভাঙচুর করে
দুর্বৃত্তরা।