আগামী জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন নানা আলোচনা। ৫ আগস্ট পরবর্তী পরিস্থিতিতে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। দলটির বহু শীর্ষ নেতা এখন বিদেশে অবস্থান করছেন, আর দেশে চলছে নির্বাচনের প্রস্তুতি।
এই প্রেক্ষাপটে প্রতিবেশী দেশ ভারত কি আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে সম্পৃক্ত রাখার কোনো পরামর্শ দেবে অন্তর্বর্তী সরকারকে—এ নিয়ে দিল্লির রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে আলোচনা। বিষয়টি এতটাই আলোচিত হয়েছে যে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনেও এ প্রসঙ্গ ওঠে এসেছে।
গত বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালের সামনে এই প্রশ্ন তোলেন এক ভারতীয় সাংবাদিক। তিনি জানতে চান, “বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনের বিষয়ে ভারত কি কোনো ভূমিকা নেবে? নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার পাশাপাশি আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে কি ভারত কোনো প্রস্তাব দেবে?”
জবাবে রণধীর জয়সওয়াল সরাসরি আওয়ামী লীগ বা কোনো দলের নাম উল্লেখ না করে বলেন, “ভারতের প্রত্যাশা—বাংলাদেশের নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অংশগ্রহণমূলক হয়।”
তার এই সংক্ষিপ্ত মন্তব্য থেকেই বোঝা যায়, ভারত এখনো প্রকাশ্যে কোনো দলীয় অবস্থান নিচ্ছে না। তবে কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, দক্ষিণ এশিয়ার কৌশলগত রাজনীতিতে বাংলাদেশের নির্বাচনের ফল ভারতের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে।