শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২
সর্বশেষ বিশেষ সংবাদ জাতীয় সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফস্টাইল আইন-আদালত মতামত অন্যান্য
/ জাতীয়

লালমনিরহাটে রেলওয়ের গণশুনানিতে ২৬ অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠন


প্রকাশ :

বাংলাদেশ রেলওয়ে লালমনিরহাট বিভাগের সেবা কার্যক্রমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সেবার মানোন্নয়ন নিশ্চিত করতে বৃহস্পতিবার (০৬ নভেম্বর) ষ্টেশনের এক নম্বর প্লাটফর্মে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এতে রেলওয়ে কর্মকর্তা, কর্মচারী, সেবাগ্রহীতা ও সূধীজন অংশ নেন।

গণশুনানিতে সেবাগ্রহীতা ও ভুক্তভোগী নাগরিকরা রেলসেবা সংক্রান্ত নানা সমস্যা, দুর্ভোগ ও প্রস্তাব তুলে ধরেন। টিকিট বিক্রয়ে অনিয়ম, কর্মকর্তাদের রূঢ় আচরণ, ট্রেনের সময়সূচি ঠিক রাখা, স্টেশন এলাকার নিরাপত্তা, প্ল্যাটফর্ম উন্নয়ন ও রেলওয়ে সম্পত্তি দখলমুক্ত করার দাবিসহ ২৩টি লিখিত ও ৩টি তাৎক্ষণিক অভিযোগ প্রদান করেন। 

এর মধ্যে রেলকর্মচারীর অসৌজন্যমূলক আচরণ ও টিকিট বিক্রয়ে অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। নারী যাত্রীদের নিরাপত্তা, স্থানীয় ও মেইল ট্রেনে বগি বাড়ানো, ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে যাত্রীছাউনি নির্মাণ এবং ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে সংযোগ পথ তৈরির দাবি জানানো হয়।

এছাড়া লোকাল ট্রেনে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা রক্ষা, নিম্নমানের লাইট ও ফ্যান পরিবর্তন, টিটিই না থাকার অভিযোগসহ স্টেশনে কিশোর গ্যাংয়ের অবাধ চলাচল বন্ধের বিষয়ও গুরুত্ব পায়। এসব অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয় এবং প্রয়োজনে নোটিশ বোর্ডে হালনাগাদ তথ্য সংযোজনের পরামর্শ দেওয়া হয়।

গণশুনানি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) আবু হেনা মোস্তফা আলম।  এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় পরিবহন ও বাণিজ্যিক কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন, বিভাগীয় পার্সোনেল অফিসার মোর্শেদ আলম, এস্টেট কর্মকর্তা মনজুর হোসেন, বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (লোকো) কর্মকর্তা ধীমান ভৌমিকসহ রেলওয়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

ডিআরএম আবু হেনা মোস্তফা আলম বলেন, গণশুনানির মাধ্যমে জনগণের সমস্যা ও প্রত্যাশা সরাসরি শোনা যায়, এতে দ্রুত সমাধানের পথ খুলে যায়। তিনি জানান, নিয়মিত এ ধরনের উদ্যোগ চালু থাকলে রেলওয়ে আরও জনগণবান্ধব, কার্যকর ও সেবামুখী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে।

এ সময় অন্যান্য বক্তারা বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধ ও সেবার মান বাড়াতে কর্মকর্তাদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। জনগণের অর্থে পরিচালিত রেলওয়ের প্রতিটি সেবা যেন সরাসরি সেবাগ্রহীতার কাছে পৌঁছে এটা নিশ্চিত করাই এখন মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত।

গণশুনানি শেষে সাধারণ মানুষ এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, আগে অনেক সমস্যার কথা জানানোর সুযোগ ছিল না, এখন সরাসরি কর্মকর্তাদের সামনে তুলে ধরতে পারছেন—যা সমস্যা সমাধানকে দ্রুত ও সহজ করে তুলবে।