মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা হওয়ার আশায় ২০০ কোটি টাকার চেক হস্তান্তর ও ঘুষ লেনদেনের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের (এনআইসিআরএইচ) সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. শেখ গোলাম মোস্তফা। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে একটি বিশেষ টিম এই অভিযোগ যাচাইয়ে অভিযান চালায়।
দুদকের উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম বলেন, ডা. মোস্তফার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং অসাধু উপায়ে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ পদ লাভের চেষ্টার প্রমাণ মিলেছে। অভিযানে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে, যা যাচাই শেষে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তিনি জানান, আরও নথি সংগ্রহ ও যাচাই-বাছাই শেষে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করা হবে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারিতে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পদ নিশ্চিত করার শর্তে ডা. মোস্তফা এক সমন্বয়ক গ্রুপকে ১০ লাখ টাকা নগদ ও ২০০ কোটি টাকার চারটি চেক দেন। মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেন আরিফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি, যিনি নিজেকে সমন্বয়ক আরেফিনের ভাই পরিচয় দেন। তিনি সরাসরি ডা. মোস্তফার চেম্বার থেকে চেকগুলো সংগ্রহ করেন।
ঘটনাটি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকে একে স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতির একটি চাঞ্চল্যকর উদাহরণ হিসেবে অভিহিত করছেন।
তবে অধ্যাপক ডা. শেখ গোলাম মোস্তফা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি গণমাধ্যমে দাবি করেন, “আমাকে উপদেষ্টা বানানোর নামে প্রতারণা করা হয়েছে। জোরপূর্বক আমার কাছ থেকে স্বাক্ষর নেওয়া হয়। এগুলো ছিল শুধু সিকিউরিটি চেক। যে দিন তারা আমার অফিসে আসে, তখন তাদের দু’জনের হাতে অস্ত্র ছিল।”
