গেজেটভুক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা এবার শুধু সরকারি ওয়েবসাইটে নয়, প্রতিটি জেলা ও উপজেলার জনসমাগমপূর্ণ স্থানে প্রকাশ করা হবে। উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ, স্থানীয় বাজারসহ খোলামেলা স্থানে তালিকা টাঙানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষ মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কে জানতে পারবে এবং তালিকায় কেউ ভুয়া থাকলে সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবে।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীরপ্রতীক বলেন, “অনেকে তালিকায় থেকেও মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেননি। এবার জনসমক্ষে তালিকা টাঙালে ভুয়া ব্যক্তিকে শনাক্ত করা সহজ হবে।”
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সরকারি ওয়েবসাইটে ইতিমধ্যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। তবে জনসচেতনতার ঘাটতির কারণে পর্যাপ্ত সাড়া মেলেনি। তাই এবার তালিকা খোলামেলা স্থানে প্রদর্শনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
২০২৩ সালের তালিকা অনুযায়ী দেশে গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ১,৯৭,৮৫৫ জন। ভাতাভোগী মুক্তিযোদ্ধা আছেন ১,৯৬,৪৫৪ জন, তাঁদের মধ্যে জীবিত ৯১,০৫৫ জন।
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা শনাক্তে অভিযোগ ফরম ওয়েবসাইটসহ বিভিন্ন মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে। সরকার ইতিমধ্যে কয়েক শ অভিযোগ পেয়েছে এবং তদন্ত করছে।