গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘ গণঅভ্যূন্থান পরিবর্তি বাংলাদেশে যারা আস্ফালন দেখাচ্ছেন, প্রশাসন এবং আইনশৃঙৃখলাবাহিনীকে অনুরোধ করবো অনতিবিলম্বে এই গণহত্যাকারী ও গণহত্যাকারীদের দোসরদেরকে গ্রেফতার করুণ। এই রংপুর সহ সারা বাংলাদেশের জনগনকে স্বস্তি প্রদান করুন। আপনারা যদি আইনগত ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হন, জনগন কিন্তু আইন নিজের হাতে তুলে নিবে। আমরা চাই না জনগন আইন নিজের হাতে তুলে নিক ‘
শুক্রবার ( ৮ নভেম্বর) সন্ধায় রংপুর জিলা স্কুল মাঠে ‘ গণঅভ্যুন্থানে নিহত শহীদ ও আহতদের স্মরণে এবং বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ‘ বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন। পরিষদের জেলা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেরে খোদা আসাদুল্লাহর সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, মুখ্য আলোচনা করেন উচ্চতর পরিষদ সদস্য ওহানিফ খান সজিব। বক্তব্য রাখেন রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, সহ দপ্তর সম্পাদক ইবরাহিম খোকন, সহ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সোহাগ হোসেন বাবু, নির্বাহী সদস্য হাজি মোঃ কামাল হোসেন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান, যুব অধিকার পরিষদের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোনতাজুল ইসলামসহ রংপুর বিভাগের নেতৃবৃন্দ। সমাবেশে
বিভাগের আট জেলার হাজার হাজার নেতাকর্মী সমাবেশে অংশ নেন।
এসময় নুর বলেন, ‘ আমরা দেখতে পাচ্ছি সারা বাংলাদেশে যারা আওযামীলীগের দোসর হিসেবে যারা ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে। তাদের আষ্ফালন থামে নাই। এই রংপুরের মাটিতে গণ অধিকার পরিষদের নেতাদের নিয়ে কুরুচিপূর্ন মন্তব্য করা হয়েছে।িআজকের এই সমাবেশ থেকে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই ‘ ।
নুর আরও বলেন, ‘ আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই। এই রংপুরের মাটি আবু সাঈদের মাটি। সারা বাংলাদেশে ছাত্র জনতার রক্তে রঞ্জিত মাটি। রক্তের দাগ এখনও শুকায় নাই। আওয়ামীলীগকে পুনর্ বাসনের যারা চেস্টা করবে। ছাত্র-জনতাকে সাথে নিয়ে তার সমুচিত জবাব দেয়া হবে।’
নুর বলেন, ‘ এই গণঅভ্যূন্থান পরবর্তি বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের কোন জায়গা নেই। আগামীর গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে আওয়ামী বাকশালীদের কোন জায়গা নাই। আওয়ামীলীগের দোসর যারা ছিলেন, তাদের জায়গা হবে না, হবে না, হবে না। ’
ভিপি নুর বলেন, ‘ ছাত্র জনতার অভ্যুন্থানের পর যে সরকার এসেছে। তাদের আমরা স্থিতিশীল করতে চাই। আইনশৃঙখলা পরিস্থিতির উন্নতিতে সহযোগিতা করতে চাই। এবং আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মানে তারুণের দল গণ অথিকার পরিষদের নেতৃত্বে গণ জোয়ার তৈরি করতে চাই। ‘
নুর বলেন, ‘ তিস্তা নিয়ে কোন সরকারই সুষ্ঠু পরিকল্পনা করে এই অঞ্চলের মানুষের কস্ট দূর করার চেস্টা করে নি। একটা ভালো চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান নাই। একটা বিশ্ববিদ্যালয় দিয়ে রংপুর কাভার হয় না। এখানকার ৪৭ শতাংশ মানুষ দরিদ্র। অথচ কৃষিতে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় জায়গা হলো রংপুর। কৃষিকে গুরুত্ব দিয়ে রংপুরকে কৃষি হাব নতুন শিল্পনীতি ও শিল্পাঞ্চল প্রয়োজন।’