আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লালমনিরহাট-২ (আদিতমারী-কালীগঞ্জ) আসনে প্রার্থী হিসেবে গণতন্ত্র মঞ্চের মনোনয়ন পেয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ও লালমনিরহাট জেলা আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক দীপক কুমার রায়।
দলের পক্ষ থেকে তাঁকে প্রাথমিক প্রার্থী হিসেবে ঘোষণার পর লালমনিরহাট জুড়ে তরুণ সমাজসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অভিনন্দন জানিয়েছেন। জেলা বুদ্ধিজীবী সমাজ, শিক্ষক, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিককর্মী ও নাগরিক সমাজের অনেকেই তাঁর প্রার্থিতা নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
একাধিক সূত্রে জানা যায়, তরুণ ভোটারদের বড় অংশ মনে করছেন—দীপক কুমার রায়ের মতো সচেতন, চিন্তাশীল ও সংগ্রামী মানুষ সংসদে গেলে লালমনিরহাট জেলার প্রকৃত উন্নয়ন ও প্রতিনিধিত্বের নতুন দিগন্ত খুলবে। তিনি শুধু জুলাই অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ের রাজপথের কর্মীই নন, বরং দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের পক্ষে সোচ্চার একজন সংগঠক হিসেবে দেশের রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছেন।
দীপক রায় গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার সুবাদে ঢাকাসহ সারাদেশে বিস্তৃত নেটওয়ার্ক তৈরি করেছেন। তিনি বর্তমানে একটি জাতীয়ভাবে পরিচিত প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীর দায়িত্বও পালন করছেন। পাশাপাশি নদী বাঁচাও আন্দোলন, সুন্দরবন রক্ষা আন্দোলন, জাতীয় সম্পদ রক্ষার উদ্যোগ, সাংস্কৃতিক আন্দোলন এবং গণতান্ত্রিক চেতনা বিকাশে তাঁর ভূমিকা রয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দীপক কুমার রায়ের মতো দক্ষ, যুগোপযোগী ও চিন্তাশীল নেতারই সংসদে প্রতিনিধিত্ব করা প্রয়োজন, যিনি দেশের নীতি নির্ধারণে এবং জনকল্যাণমূলক আইন প্রণয়নে বাস্তব ভূমিকা রাখতে পারবেন।
লালমনিরহাটের কৃষক, শ্রমিক, মেহনতী জনগোষ্ঠী—যারা এতদিন অবহেলিত থেকেছেন, তাদের জন্য নতুন কর্মসংস্থান ও কৃষি-বান্ধব উদ্যোগ নিতে তিনি ইতোমধ্যে পরিকল্পনা করেছেন বলে জানা গেছে। তাঁর লক্ষ্য, সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে লালমনিরহাটকে নতুনভাবে গড়ে তোলা।
ফোনে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে দীপক কুমার রায় বলেন, “আদিতমারী ও কালীগঞ্জসহ লালমনিরহাট জেলাকে যে ভয়ংকরভাবে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে, তা আর চলতে দেওয়া হবে না। একজন সংসদ সদস্য হিসেবে আমার কাজ হবে রাষ্ট্রের আইন প্রণয়ন ও নীতিমালা প্রণয়নে গণতন্ত্র, সমতা ও নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা।”
তিনি আরও বলেন, “এই জেলার বরাদ্দের ক্ষেত্রে যে অনিয়ম ও বৈষম্য রয়েছে, তা দূর করতে চাই। প্রান্তিক এই জেলাকে আমি দেশের মধ্যে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই। লালমনিরহাটের জনগণই হবে এই পরিবর্তনের শক্তি।”
এদিকে প্রগতিশীল ঘরানার ছয়টি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত জোট ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ এবার ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। প্রথম দফায় ১৩৮টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী হাসনাত কাইয়ুম এই প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করেন।