রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
সর্বশেষ বিশেষ সংবাদ জাতীয় সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফস্টাইল আইন-আদালত মতামত অন্যান্য
/ সারাদেশ

স্বামী-স্ত্রীর আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলায় আসামীকে গ্রেপ্তার নিয়ে পুলিশের ধুম্রজাল


প্রকাশ :

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার গোতামারী ইউনিয়নের কুমারপাড়া এলাকায় নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও স্বামীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটে গত ২২ সেপ্টেম্বর রাতে। এ ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা হলেও এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মৃত অলি মিয়া (৩০) ওই এলাকার আ. হামিদের ছেলে। তিনি চারটি বিয়ে করেছিলেন। প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর একে একে আরও তিনটি বিয়ে করেন। তবে মায়ের নির্যাতনের কারণে পূর্বের স্ত্রীদের কেউই সংসার টিকিয়ে রাখতে পারেননি। পরে অলি মিয়া একই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত সোবহানের মেয়ে ছকিনার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন। কিন্তু ছকিনাও শ্বাশুড়ির অত্যাচার থেকে রেহাই পাননি। 

স্থানীয় ও পরিবারিক সূত্র জানায়, অলির মা ছেলেকে ছকিনাকে ডিভোর্স দিতে চাপ দিতে থাকেন। কিন্তু অলি রাজি না হওয়ায় ছকিনার ওপর নির্যাতন আরও বেড়ে যায়। তবুও তিনি সংসার টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছিলেন। 

ঘটনার দিন সকালে শ্বশুর, শ্বাশুড়ি ও ননদের সঙ্গে ঝগড়ার পর সন্ধ্যায় অলি মিয়া ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ছকিনার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। 

এলাকাবাসীর দাবি, এটি আত্মহত্যা নয়, বরং পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তারা বলেন, “অলির মা ও পরিবারের অন্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে আসল ঘটনা বের হয়ে আসবে।

ছকিনার পরিবারের অভিযোগ, ছকিনাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে এবং পরে অলির আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। এরপর ঘটনাটিকে আত্মহত্যা হিসেবে সাজানোর চেষ্টা করেছে অলির পরিবার। 

এ ঘটনায় পরদিন (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে হাতীবান্ধা থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে শশুর ও শাশুড়ী বিরুদ্ধে ছনিকার চাচাতো ভাই আঃরহমান বাদী হয়ে একটি মামলা  দায়ের করেন। তবে ঘটনার রহস্য এখনো উদ্ঘাটন হয়নি এবং পুলিশ কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি। 

মামলার বাদী আঃরহমান পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন,যদি পুলিশ ছকিনার নদন ও তার শশুড় ও তার শাশুড়ীকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাহলে মূল ঘটনা বের করা সহজ হবে।কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন তদন্তই করে নাই।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদুন্নবী বলেন, তদন্ত চলছে, তদন্তের পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”