কুড়িগ্রামের দুধকুমার নদ থেকে নিখোঁজের একদিন পর তিন বছর বয়সী শিশু কাইফার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকালে সদর উপজেলার ঘোগাদহ ইউনিয়নের খারুয়ারপাড় গ্রাম থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে নদীতে ভেসে ওঠা অবস্থায় শিশুটির নিথর দেহ দেখতে পান স্থানীয় এক নারী।
বুধবার (২ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় কাইফা। সে খারুয়ারপাড় গ্রামের বাসিন্দা মাসুদ রানার একমাত্র কন্যা।
শিশুটি নিখোঁজ হওয়ার পরপরই পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা আশপাশে তল্লাশি চালান। আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি খোঁজার পাশাপাশি মাইকিংও করা হয়, তবে কোথাও কোনো সন্ধান মেলেনি। ঘটনার পরপরই স্থানীয়দের সন্দেহের কেন্দ্রে ছিল বাড়ির পাশ দিয়ে প্রবাহিত দুধকুমার নদীর প্রবল স্রোত।
বিষয়টি জানানো হলে কুড়িগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল নদীতে তল্লাশি শুরু করে, তবে রাত পর্যন্ত কোনো খোঁজ মেলেনি।
বৃহস্পতিবার সকালে নদীর ঘাটে কাপড় ধোতে যাওয়া এক নারী প্রথম শিশুটির মরদেহ পানিতে ভেসে থাকতে দেখেন। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয় এবং কাইফা হিসেবে শনাক্ত করা হয়।
ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা জানান, “দুধকুমার নদীর তীব্র স্রোতের কারণে শিশুটি নিখোঁজ স্থানের অনেক দূরে ভেসে গিয়েছিল। এটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক একটি ঘটনা।”
শিশুটির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয়রা মনে করছেন, উন্মুক্ত নদীঘাট এলাকায় শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এখনই পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। উদ্ধারকৃত মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।