তিন দেশ থেকে ৬৬৪ কোটি ৪০ লাখ টাকায় এক লাখ ১৫ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এর মধ্যে রয়েছে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া, ৪০ হাজার টন ডিএপি এবং ৩৫ হাজার টন এমওপি সার। এসব সার আসবে সৌদি আরব, মরক্কো ও রাশিয়া থেকে।
বুধবার অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারের ক্রয় কমিটির ৪২তম সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। সভাটি অনুষ্ঠিত হয় ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সূত্র জানায়, কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপস থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের বিদ্যমান চুক্তির সপ্তম ধাপের আওতায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) এ আমদানির কার্যক্রম সম্পন্ন করবে। এই চালানের মোট ব্যয় ৩৬০ কোটি ২ লাখ টাকা, যেখানে প্রতি টনের দাম নির্ধারিত হয়েছে ৭৩৫.৩৩ মার্কিন ডলার।
একই সভায় রাশিয়ার জেএসসি ‘ফরেন ইকোনমিক করপোরেশন (প্রোডিনটর্গ)’ থেকে ৩৫ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার আমদানির প্রস্তাবও অনুমোদন পেয়েছে। এই চালানের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫২ কোটি ৬২ লাখ টাকা, প্রতি টনের দাম ৩৫৬.২৫ মার্কিন ডলার।
এছাড়া শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী সৌদি আরবের স্যাবিক অ্যাগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের পঞ্চম ধাপের আওতায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্রানুলার ইউরিয়া সার আমদানি করা হবে। এর মোট চুক্তিমূল্য ১৫১ কোটি ৭৮ লাখ টাকা, যেখানে প্রতি টনের দাম ৪১৩.৩৩ মার্কিন ডলার নির্ধারিত হয়েছে।
সভায় সার সরবরাহ ও মজুত ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে বরগুনায় ১০ হাজার মেট্রিক টন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন একটি বাফার গোডাউন নির্মাণের প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয়।
‘বিভিন্ন স্থানে সার সংরক্ষণ ও বিতরণের জন্য ৩৪টি বাফার গুদাম নির্মাণ (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্পের আওতায় প্যাকেজ-৪, লট-৫ (বরগুনা সাইট) এর এই কাজ বাস্তবায়ন করবে এম/এস এমবিএল-আরইএল (জেভি), ঢাকা। এতে ব্যয় হবে ৫১ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।
সার সরবরাহ নির্বিঘ্ন রাখা এবং সংরক্ষণ অবকাঠামো আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যেই ক্রয় কমিটি প্রস্তাবগুলো পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত অনুমোদনের সুপারিশ করেছে।