লালমনিরহাটে ১০ বছর বয়সী শাকিল নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মরদেহ সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করেছে সদর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বিকেলে পুলিশ শাকিলের মরদেহ উদ্ধার করে। এ বিষয়ে লালমনিরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ-সার্কেল) ফজলুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল (১০ মার্চ) দুপুরে লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের ফকিরটারী এলাকায় আনসারিয়া নুরানী মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র শাকিলকে অপহরণ করা হয়। এরপর বিকেলে ০১৩২০৯৮৫১৪৬ নম্বর থেকে ফোন করে শাকিলের মা জয়নবের কাছে তিন লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। পরিবার বিষয়টি পুলিশকে জানালে তদন্ত শুরু করে পুলিশ, পরে একই এলাকার সহিদুল ও তার ছেলে সোহানকে আটক করা হয়। পরদিন (১১ মার্চ) দুপুরে সোহানের মা সাহানাকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে সোহানের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সহিদুলের বাড়ির পাশে একটি কাঁচা সেপটিক ট্যাংকের নিচ থেকে শাকিলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রাজ্জাক বলেন, "গতকাল বিকেলে শুনেছি শিশু শাকিল অপহরণ হয়েছে। পরে মুক্তিপণ দাবির জন্য তার মাকে ফোন করে অপহরণকারীরা। পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। আজ পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।"
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরনবী বলেন, "শাকিল হত্যার ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। শাকিলের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।"
লালমনিরহাট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ-সার্কেল) এ.কে.এম ফজলুল হক বলেন, "শাকিল অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আটক সোহানের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শাকিলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করতে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে এবং আটককৃতদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।"