লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় ভুট্টাক্ষেত থেকে উদ্ধার হওয়া এক নারীর মাথাবিহীন মরদেহের ঘটনার তিন দিন পর তার কাটা মাথা উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের সতিন মেহেরুন বেগমকে (৪৮) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার (৮ মার্চ) দুপুরে মেহেরুন বেগমের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের কুটিবাড়ি গ্রামের ভারতীয় সীমান্তসংলগ্ন একটি ভুট্টাক্ষেত থেকে কাটা মাথা উদ্ধার করা হয়।
এর আগে, বুধবার (৫ মার্চ) লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের ফুলগাছ বামনটারী শ্মশান এলাকার ভুট্টাক্ষেত থেকে অজ্ঞাতনামা এক নারীর মাথাবিহীন মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরবর্তীতে লাশের আঙুলের ছাপের মাধ্যমে নিহতের পরিচয় শনাক্ত হয়। তিনি হাসিনা বেগম (৪৫), আদিতমারী উপজেলার কুটিবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা ও ভ্যানচালক আশরাফুল ইসলামের দ্বিতীয় স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানান, মাঠে কাজ করতে গিয়ে শ্রমিকরা মরদেহটি দেখতে পান এবং পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। ঘটনার পর থেকেই হাসিনার স্বামী আশরাফুল ইসলাম ও তার প্রথম স্ত্রী মেহেরুন আত্মগোপনে চলে যান। সন্দেহভাজন হিসেবে পুলিশের নজরদারিতে থাকায় শুক্রবার সন্ধ্যায় মেহেরুন বেগমকে আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হাসিনার কাটা মাথা উদ্ধার করা হয়।
দুর্গাপুর ইউনিয়নের সদস্য আব্দুর রাজ্জাক জানান, আশরাফুল ইসলাম তার দুই স্ত্রীকে পৃথক বাড়িতে রাখতেন, তবে তিনি বেশিরভাগ সময় দ্বিতীয় স্ত্রী হাসিনার সঙ্গে কাটাতেন। পারিবারিক কলহের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরনবী বলেন, "গ্রেপ্তার মেহেরুন বেগম হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী হাসিনার কাটা মাথা উদ্ধার করা হয়েছে।" পুলিশ এখনো পলাতক স্বামী আশরাফুল ইসলামের খোঁজ করছে।