প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০২৩ এর ৩য় ধাপের ( ঢাকা ও চট্টগ্রাম) চুড়ান্ত ফলাফল প্রত্যাশীরা আগামী ১০ নভেম্বর মিরপুর -২ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে সকল শূন্যপদ পূরণসহ পুনরায় ফলাফল প্রকাশের দাবিতে অনশন ও লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। ৩য় ধাপের রেজাল্ট প্রত্যাশী রোমানা ইসলাম এ তথ্য জানান। এর আগেও গত ৩ নভেম্বর তারা এ কর্মসূচি পালন করছেন।
উল্লেখ্য যে, গত ৩১ অক্টোবর প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০২৩ এর ৩য় ধাপ ( ঢাকা ও চট্টগ্রাম) এর চুড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে ৪৬১৯৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ৬৫৩১ জন পরীক্ষার্থী চুড়ান্ত ভাবে নির্বাচিত হন। এক্ষেত্রে ৩৯৬৬৮ জন পরীক্ষার্থী বঞ্চিত হন। তারা বলেন সরকারি চাকরির নিয়োগের ক্ষেত্রে সাধারণত ১ টি শুন্যপদের বিপরীতে ৩জন কিংবা ৪ জন প্রার্থীকে ভাইবার জন্য নির্বাচন করা হয়। সেক্ষেত্রে প্রাইমারি নিয়োগের ক্ষেত্রে শুন্যপদ থাকা সত্ত্বেও ১ টি সিটের বিপরীতে গড়ে ১: ৭.০৭ এমনকি কোন কোন জেলায় ১:১১.৫৯ অনুপাতে চুড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়৷ যেখানে একই নিয়োগের ১ম ধাপে ১:৩.৭৪ অনুপাত এবং ২য় ধাপে ১:৩.৭৮ অনুপাতে চুড়ান্ত ভাবে নিয়োগ প্রদান করা হয়। সেক্ষেত্রে ৩য় ধাপের ক্ষেত্রে দীর্ঘ ৬ মাস অপেক্ষার পর এ ধরনের ফলাফল প্রকাশকে তারা বেকার এবং মেধাবীদের সাথে প্রহসন এবং বৈষম্য বলেই মনে করছেন। তারা বলছেন একজন পরীক্ষার্থীকে লিখিত পরীক্ষায় পাস করার পর জেলা শহরগুলোতে গিয়ে কাগজপত্র জমা দেওয়া, ভাইবা দিতে যাওয়াসহ নানাবিধ কাজে আর্থিক, মানসিক এবং শারীরিক পরিশ্রমের যে স্বীকার হতে হয় সেক্ষেত্রে চুড়ান্ত ফলাফলে এরকম বৈষম্য করা হলে তারা সেটা কিছুতেই মেনে নিবে না। পরীক্ষার্থীরা বলেন ৬৫৩১ পদে যদি নিয়োগ দেওয়া হতো তাহলে কোন যুক্তিতে ৪৬১৯৯ জনকে লিখিত পরীক্ষায় টিকানো হলো?
তারা আরও বলেন যে, শূণ্যপদ ফাকা রেখে কেন মাত্র ৬৫৩১ জনকে নির্বাচন করা হলো? তাই অনতিবিলম্বে সকল শূণ্যপদ পূরণ করে পুনরায় ফলাফল প্রকাশের দাবিতে তারা অনশন ও লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। তারা জানান তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত তারা অনশন ও লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন।
উল্লেখ্য গত ২৯ মার্চ ২০২৪ তারিখ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০২৩ এর ৩য় ধাপের (ঢাকা ও চট্টগ্রাম) লিখিত পরীক্ষা এবং ৯ মে থেকে ১২ জুন ভাইবা পরীক্ষা সম্পন্ন হয় এবং সর্বশেষ ৩১ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে চুড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়।