দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে ক্লান্ত পথিক/পথ খুঁজে ফিরে,
কিন্তু পথের দিশা বন্ধুরই বটে/তথাপি সাধ্যের অতীত কল্পনা বিলাস
অভুতপূর্ব অভ্যুথান, যেন মাদকের সুরাপানে/মোহিত হয়ে দিক বিতিক ছোটাছুটি-
যেন একটি সীমাহীন আকাশের নিচে/অসীমের ভাবনা।
উন্মাদ হয়ে উঠা যুবাদের অর্গানগুলো,/এমফিটামিন আর নিকোটিনে ভরা রক্তপিন্ড
হয়ে উঠে সমাজে প্রকট অন্ধকারাচ্ছন্ন বিষবাষ্প/রক্তে রক্তে আফিম, হেরোইন, গাঁজা, চোলাইমদে
বুদ হয়ে বাসা বেঁধে সমাজকে আরো কলুষিত করছে/ধুঁকে ধুঁকে মরছে যুব সমাজ।
কে বাঁচবে তাদের দেহ মন সর্বস্ব দিয়ে/শুধুই আহাজারী হাহাকার।
সর্বহারা মানুষের কিইবা আছে?/কেউ কেউ এরই মধ্যে আর্ততৃপ্তির ঢেকুর তোলে।
প্রাথমিক জীবন কবিতার প্রতিধ্বনি,/অনুভব করে অস্তিত্বের ভাঁজে ভাঁজে
কিন্তু হায় “মাদক” এমন বিষবাষ্প যা কখনো/কাউকে রেহায় দেয় না।
যেমনটি আগুনের লেলিহান শিখা/দহনে পটু,ঠিক তদ্রæপ।
আমি কান পেতে শুনি মাদকের/সেবিদের তর্জন-গর্জন আহাজারী।
কিভাবে নিস্তার পাবে তার কোন /সদুত্তর মেলে না।
ইচ্ছে নামের পালে বাতাস লাগায়ে/মাদক চলেছে দেশের আনাচে কানাচে সর্বত্র,
এর শেষ কোথায় কেউ জানে না।