সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
সর্বশেষ বিশেষ সংবাদ জাতীয় সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফস্টাইল আইন-আদালত মতামত অন্যান্য
/ সারাদেশ

সরকারি সড়ক উদ্ধারে সাক্ষী দেওয়ায় মারপিটের অভিযোগ


প্রকাশ :

লালমনিরহাটের পাটগ্রামের বাউরা ইউনিয়নে চলাচলের একটি সরকারি সড়ক উদ্ধারে সাক্ষী দেওয়ায় মারপিট ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই পক্ষ পাটগ্রাম থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দিয়েছে।  

জানা গেছে, ওই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নবীনগর গ্রামের বাউরা বাজার সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয়দের চলাচলের জন্য প্রায় ২২০ ফুট সরকারি একটি সড়ক রয়েছে। অভিযোগ উঠেছে ১ নম্বর খতিয়ানের ৭৬৫৩ দাগের এ সড়কটি দক্ষিণ ও উত্তর দিকে দৃশ্যমান থাকলেও মাঝখানে দখল করে ঘর তুলেছে ওই এলাকার ছাইমা খাতুনের পরিবার। সড়কটি উদ্ধারে গত ৯ অক্টোবর উপজেলা র্নিবাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নিকট অভিযোগ দেন স্থানীয় বাসিন্দা আমান উল্লাহ। গত ১৯ অক্টোবর সরেজমিনে সড়কটি মাপযোগ করতে যায় উপজেলার ভূমি সার্ভেয়ার সাইদুল ইসলাম। এ সময় এ সড়ক দখলে নিয়ে ঘর তোলার সাক্ষী দেন স্থানীয় বাসিন্দা ব্যবসায়ী আবুল হোসেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২০ অক্টোবর সকালে আবুলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ছামিনা খাতুন লোকজন নিয়ে যায়। একপর্যায়ে সেখানে মারপিটের ঘটনা ঘটে। ওইদিনই ছামিনা খাতুনের লোকজন হামলা চালিয়ে মারপিট ও টাকা লুট করেছে উল্লেখ করে পাটগ্রাম থানায় একটি অভিযোগ দেন আবুল হোসেন। অপরদিকে একইদিন পাটগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন ছাইমা খাতুনের ছেলে রাকিবুল হাসান মাসুদ। ছাইমা খাতুনের পরিবারও একইদিন মারপিটের অভিযোগ তুলে পাটগ্রাম থানায় পাল্টা একটি অভিযোগ দেন। 

এ ব্যাপারে আবুল হোসেন বলেন, ‘সরকারি রাস্তা উদ্ধারে সাক্ষী দেওয়ায় ছাইমা খাতুন লোকজন নিয়ে আমার বাড়িতে ও অফিসে এসে অতর্কিতভাবে হামলা চালায়, মারপিট করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করে এবং টাকা লুট করে নিয়ে যায়। থানায় অভিযোগ দিয়েছি।’ 

ছাইমা খাতুনের ছেলে রাকিবুল হাসান মাসুদ বলেন, ‘চাতাল ব্যবসায়ী আবুল ও অনেক লোক সরকারি সার্ভেয়ার নিয়ে আসে জমি মাপে। আমরা বাড়িতে ছিলাম না। ঘটনা জানতে আবুলদের বাড়ি গেলে তাঁরা হাতুরি ও শাবল নিয়ে তেঁড়ে আসে ও আমাকে ধরে কামড় দিয়ে আহত করে। হাসপাতালে ভর্তি আছি। জনগণ আমাদেরকে উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।’ 

উপজেলা ভূমি সার্ভেয়ার সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘নকশা অনুযায়ী সরকারি রাস্তাটিতে ঘর তোলা রয়েছে। মূলত রাস্তাটি বিআরএস রেকর্ডে নকশাতে আছে। কিন্তু পরবর্তীতে খতিয়ান বইতে তা ভুল দাগে খতিয়ান ভুক্ত হয়েছে। এ সমস্যা সমাধানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিতে পারে। আমি প্রতিবেদন পাঠাবো।’ 

পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘দুই পক্ষই থানায় অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’